নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেলঃ স্পিকার

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃঃ  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নারী উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের নারীরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে নারীবান্ধব আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে নারী উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য বিচারের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিচারের দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।

স্পিকার বলেন, রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক সাম্য এবং ন্যায়বিচারসহ মৌলিক মানবাধিকার অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ, নির্বাহী, আইনসভা বিচারবিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

আজ শনিবার (১০ মার্চ ) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বাংলাদেশের নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, সংবিধানের আলোকে সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনায় বর্ণিত রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিতকরণ।

স্পিকার নারীদের জন্য অনুকূল কর্ম পরিবেশ, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতে বেশিসংখ্যক নারী বিচারপতি নিয়োগে আমরা সচেষ্ট থাকবো। জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নারীদের নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।’

বিভিন্ন জেলায় আবাসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী বিচারপতিদের অগ্রাধিকার দিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দু’জন বিচারক হলে তাদের কর্মস্থল একই জেলায় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে। তবে সঙ্গত কারণে তা সম্ভব না হলে পাশের জেলায় পদায়ন করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.