বোয়ালখালীতে ইয়াবা ব্যবসায়ীর হামলায় পুলিশ আহত
সিটি নিউজ, বোয়ালখালীঃঃ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ধরতে গিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার (১২ মার্চ) রাত ১০টার দিকে গোমদন্ডী রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী রোহাই পাড়ার আবদুল হাকিমের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. জলিল (২৬) কে আটক করে পুলিশ। তার কাছে থাকা ৫১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের খবরে তার সঙ্গীরা পুলিশকে এলোপাথাড়ি ইট পাটকেল ছুড়ে মারতে থাকে।
ইয়াবা ব্যবসায়ীর হামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন, মো. আনিস ও কনস্টেবল আবু নোমান। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মিজানুর রহমান।
এ ব্যাপারে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফারুক।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গোমদন্ডী রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী জলিলকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছুঁড়ে মারে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে আরো পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, এটা পুলিশের আইওয়াশ। কারণ এখানে ইয়াবা বা মাদক ব্যবসার সাথে খোদ পুলিশই জড়িত। এখানে হয়তো ভাগভাটোয়ারা নিয়ে হয়তো তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।তারা বলেন, যারা মাদক জানতো না বা চিনতো না, তারা নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল কোন ব্যাপারেই আগ্রহী ছিলেন না। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ ইয়াবা ব্যবসাকে চাঙ্গা রাখে তাদের উদর পূর্তি করার জন্য। স্থানীয় পুলিশ ও মাদক সেবীদের মধ্যে রয়েছে নয়ছয় হিসাব।
সে হিসাবে বোয়ালখালী পুলিশও জড়িয়ে আছেন।অনেক অপরাধে ক্রস ফায়ার, আর বন্ধুক যুদ্ধ হয়। অনেক মানুষ খুন হয়। কিন্তু ইয়াবা কারবারীরা একেবারে নিরাপদ। কারণ নুন খেয়ে গুণ গাইতে না পারলেও ক্রশ ফায়ার দেওয়ার ভূল কিন্তু হতে পারে না বহুদিনের বহু বিশ্বস্থ সহযোগীদের।