আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক: প্রধানমন্ত্রী

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে যেসব অঙ্গীকার করেছিল, তার চেয়ে বেশি কাজ করার দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উন্নয়নের এই ধারা বজায় রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

রবিবার বিকালে চাঁদপুর সরকারি স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলে, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক। আমরা যা যা ওয়াদা দিয়েছিলাম, প্রত্যেকটা ওয়াদা রক্ষা করেছি। পাশাপাশি তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি।’

সরকারের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিনা পয়সায় পাঠ্যব বিতরণ, শিক্ষা বৃত্তির, এক কোটি ৩০ লাখ মায়ের মোবাইল ফোনে ফোনে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়া, তথ্য প্রযুক্তির বিস্তারের কথা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ গড়ে তুলেছি।’

‘কর্মসংস্থার সৃষ্টি করা, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস করেছি। এখন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করছি, জেলায় জেলায় আইটি পার্ক করে দিচ্ছি।’

বেকারদের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য অর্থায়ন করতে কর্মসংস্থান ব্যাংক করা, শ্রমিকদেরকে যেন জমি বিক্রি করে বিদেশে যেতে না হয়, সে জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করা, বর্গাচাষিদেরকে বিনা জামানতে ঋণ দেয়া, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রাম এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা দেয়া, সব হাসপাতালে শয্যা বৃদ্ধি, বয়স্ক, মহিলা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা চালুর কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে মেয়ে, নাতি নাতনিদের চাকরির জন্য কোটার সুযোগ রাখার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এই মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন যুদ্ধ করে। অনেকে জীবন দিয়েছে, অনেকে পঙ্গু হয়ে আছেন, তাদের সম্মান করা। তাদের পরিবারকে সম্মান করা-এটা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করেছি, তাই সম্মান করেছি।’

‘কেউ কুঁড়েঘরে থাকবে না, দরিদ্র থাকবে না’

একটা পরিবারও যেন দরিদ্র্য না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নেয়ার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না।’ ‘যাদের জমি নাই, ভিটামাটি নাই, তাদেরকে আমরা ঘর করে দেব আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে।

কুড়েঘরে কেউ বাস করবে না। নিদেনপক্ষে একটা টিনের ঘর আমরা দেব।’

‘কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না, প্রতি ঘরে আমরা আলো জ্বালব।’

‘যেখানে বিদ্যুৎ লাইন নাই, সেখানে সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আজকে ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই না আমার দেশের মানুষ ভিক্ষা করে চলুক। আমরা প্রত্যেকটা জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি।

প্রত্যেকটা মানুষ ভালোভাবে বাঁচবে। কারও কাছে হাত পেতে নয়।’

‘ঠিক সেভাবে বিশ্বে বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। মাথা নত করে না, কারও কাছে হাত পেতে না, ভিক্ষা করে না। সে নীতি নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছি।’

‘আমার লক্ষ্য একটাই, এই বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি বলেই বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে।’

নৌকায় ভোট দিয়ে জনগণে খালি হাতে ফেরে না

নৌকায় ভোট দিলে মানুষ সব সময় লাভবান হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়েই এ দেশের মানুষ মাতৃভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়েই দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আর নৌকা যখন ক্ষমতায় আসে তখন উন্নয়ন হয়। আমরা উন্নয়নে বিশ্বাস করি।’

‘সে উন্নয়ন গ্রাম পর্যায় থেকে, সে উন্নয়ন সাধারণ মানুষের উন্নয়ন।’

‘আমরা দেশে শান্তি চাই, ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে, সুপথে চলবে, মানুষের মতো মানুষ হবে।’

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চাইলে নৌকার বিকল্প নেই

২০০৮ সালের জন ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জেতায় জনগণ এখন উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। আর এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এই মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ধারাবাহিকতা না থাকলে কী হয়, সেটিও স্মরণ করিয়ে দেন শেখ হাসিনা। জানান ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় দেশে বিদ্যুৎ ছিল ১৬০০ মেগাওয়াট। পাঁচ বছর পর সেটি ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেন। কিন্তু ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে না পারায় সেটা আর বাড়েনি, বরং কমে যায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.