কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরীপ্রার্থীরা সরকারের আশ্বাসে আগামী এক মাসের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছে।

সরকার এই দাবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই আশ্বাসে আগামী ৭ মে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত জানায় আন্দোলনকারীরা।

আগামী ৭ মে পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে হাসান আল মামুন।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, আগামী ৭ মে এর মধ্যে সরকার বিদ্যমান কোটার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে যারা ভাঙচুর করেছেন এবং আন্দোলনে সহিংসতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। কোনো নিরীহ শিক্ষার্থী বা আন্দোলনকারী যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়েছে।

কাদের বলেন, আন্দোলেনর সময়ে যেভাবেই আহত হয়ে থাকুক না কেন তাদের চিকিৎসার জন্য সরকার সবকিছু করবে।

বিকালে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।

শিক্ষার্থীদের ২০ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন-নিলয়, আল ইমরান, মামুন, সুমন, ফারুক, সোহেল, সন্ধান, সাথী, দীনা, আরজিনা, লুবনা, কানিজ, তিথী, উজ্জ্বল, তারেক, নূর, ইকবাল, লিটন, ইলিয়াস, সুমন নামের ২০ জন শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবি, বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে কমাতে হবে। এই চাকরিতে কোটা সব মিলিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৫৫ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের অগ্রাধিকার কোটা রয়েছে। আর বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। এ জন্য এই কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।

কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের দাবি হলো- কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ দেয়া; নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা; কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া এবং চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাটমার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.