পটিয়ায় সম্মিলিত বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসব পালিত
সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি :: পটিয়ায় সম্মিলিত বর্ষ বিদায় ও বরণ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ১৪২৫ বাংলা পহেলা বৈশাখ সকালে ব্যাপক আনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়েছে। সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা, গুনীজন সংবর্ধনা, বিকেলে পুরস্কার বিতরণ ও বেতার-টিভি শিল্পিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
এতে প্রধান অতিথি পটিয়ার সাংসদ আলহাজ¦ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, পহেলা বৈশাখ হাজার বছর ধরে বাঙালীর সংস্কৃতির প্রাণের উৎসব। এর উৎসব বাঙালী জাতিকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করার প্রেরণা নিয়ে আসে যুগে যুগে।
তিনি আরো বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে তারাই বৈশাখের চেতনাকে ধ্বংশ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাই হাজার বছরের ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ যেভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতরা রক্ষায় শপথ নিতে হবে।
তিনি শনিবর দিনব্যাপী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মিলিত বর্ষবরণ উদ্যাপন পরিষদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
পটিয়া সম্মিলিত বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নুর আলম সিদ্দিকীর স ালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌরমেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দীন আহমদ, মৃণাল কান্তি বড়–য়া, আইয়ুব বাবুল, সামশুল আলম বাবু, মু: ছৈয়দ চেয়ারম্যান, আইয়ুব বাবুল, আলমগীর আলম, মাষ্টার শ্যামল দে, পটিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, নাজিম উদ্দিন পারভেজ, ভগিরত দাশ, সোহেল মো: নিজাম উদ্দীন, সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন এমপি সামশুল হক চৌধুরী, প্রফেসর আবদুল আলিম ও মৃণাল কান্তি বড়–য়া।
এতে প্রধান অতিথি আরো বলেন, বৈশাখের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ দিন বাঙালীরা সেই হাজার বছর ধরে হাল খাতা খুলে নতুন বছরের হিসাব লিপিবদ্ধ করেন। এসময় তারা পুরোনো হিসাব চুটিয়ে নতুন করে ব্যবসা বানিজ্যের পরিধিকে সামনে এগিয়ে নেন।
বলতে বৈশাখে পুরোনো জরাজির্ণতা মুছে নতুন প্রভাতের আলোয় জীবন গড়ার শপথ নেন বাঙালীরা। তিনি পুরোনো জরাজীর্ণতা মুছে বাংলাদেশে অবস্থানরত সর্বস্তরের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সহ সব ধর্মের মানুষকে বাঙালীত্বের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে লালন করার আহবান জানান।