২১ বছরেও সংস্কার হয়নি বদলপুরা ঘাট !

0

জাহেদুল হক,আনোয়ারা : আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার শহরমুখী মানুষের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম বদলপুরা ১৪নং ঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ শহরে আসা-যাওয়া করছে। কিন্তু একটি জেটির অভাবে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই দুই উপজেলার মানুষ।

জানা যায়,আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ও কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাড়াও মেরিন একাডেমি,কাফকো ও কেইপিজেডে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। প্রতিবছর ৩০ লক্ষাধিক টাকা ইজারা নিলেও সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এখনো পর্যন্ত ঘাটের পূর্ব প্রান্তে কোনো জেটি নির্মাণ করেনি।

অরক্ষিত একটি কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে এসব মানুষ। অনেক সময় জোয়ারে হাঁটু পরিমাণ পানিতে হেটে নৌকা পারাপার করে শহরে আসা-যাওয়া করছে তারা। এতে প্রায় সময় স্কুল, কলেজগামী ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকরা সকালে শহরের কর্মস্থলে পৌঁছাতে তাদের অতি কষ্ট ভোগ করতে হয়।

সূত্র জানায়,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ১৯৯৬ সালে এই ঘাটের প্রথম ইজারা দেয়। ইজারা মূল্য বাড়তে বাড়তে গেল অর্থ বছরে ঘাটের ইজারা মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩০লক্ষ টাকায়। কিন্তু চসিক কর্তৃপক্ষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইজারা আদায় করলেও এখনো পর্যন্ত যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে কোনো জেটি নির্মাণ করে দেয়নি। যার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোরশেদ আলম বলেন, প্রায় সময় আমাদেরকে ১৪নং ঘাট দিয়ে পারাপার করতে হয়। কিন্তু চলাচলের জন্য কোনো জেটি না থাকায় আমাদের অনেক দুর্ভোগ সহ্য করে শহরে যাতায়াত করতে হয়। পোষাক কর্মী সামশুন্নাহার জানান, প্রতিদিন ভোর বেলায় হাটু পরিমাণ পানি পাড়ি দিয়ে আমাদের কর্মস্থলে যেতে হয়। স্থানীয়রা জানায়, এলাকার বেশিরভাগ মানুষের চলাচলের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে বদলপুরা ঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রায় প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করতে হয়।

কিন্তু চসিক কর্তৃপক্ষ যাতায়াতের জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো জেটি নির্মাণ করেনি। এতে করে সাধারণ মানুষদের অনেক দুর্ভোগ সহ্য করে বছরের পর বছর যাতায়াত করতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবী সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে অবিলম্বে একটি জেটি নির্মাণ অতীব জরুরী। জানতে চাইলে ঘাটের ইজারাদার মোহাম্মদ জাহেদ বলেন, দরপত্রের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ টাকা ইজারা মূল্যে চসিক থেকে এই বছর ঘাটের ইজারা নিয়েছি। যাত্রী পারাপারের সুবিধার্থে নতুন জেটি নির্মাণ করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো পর্যন্ত উদ্যোগ নেয়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.