চন্দনাইশের ওসিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : চন্দনাইশ থানার এস.আই আলমাছ আসামী মো. মিয়া প্রকাশ মাইধ্যা স্থলে মো. আলম নামে ১ ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করায় আদালত ১০ দিনের মধ্যে থানা অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২৩ এপ্রিল ১ম যুগ্ম দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশ থানার ২০০১ সালে ১টি মামলায় কাঞ্চননগর আব্বাস পাড়ার কেসু মিয়ার ছেলে মো. মিয়া প্রকাশ মাইধ্যার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। মামলাটি ২০০৬ সালে ২৬ নভেম্বর মামলার রায় হয়। রায়ে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়। কিন্তু আসামী মো. মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থেকে যায়।
গত ১৯ এপ্রিল চন্দনাইশ থানার এস.আই আলমাছ মো. মিয়ার স্থলে আবু তাহেরের ছেলে মো. আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।
গত ২৩ এপ্রিল মো. আলমের পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবি আলমের পক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র, জাতীয়তা সনদপত্র আদালতে উপস্থাপন করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে নিশ্চিত হয়ে আসামীর নাম ও পিতার নামের সাথে অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও যাচাই বাচাই ব্যতি রেখে ১জন নিরপরাধ ব্যক্তিকে কেন অত্র মামলায় গ্রেফতার করা হয়, তৎ মর্মে সর্বোচ্চ সতর্ক ও নিরপেক্ষতার সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বয়ং তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে দায়ি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। প্রথম যুগ্ম দায়রা জজ আদালত মো. জসিম উদ্দীন এ আদেশের কপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা অফিসার ইনচার্জ চন্দনাইশের বরাবরে প্রেরণ করেন।