খুলনা নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রত্যাখ্যান: মওদুদ

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিতব্য খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বা কারচুপি হলে সেই নির্বাচন বিএনপি প্রত্যাখ্যান করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে শফিউল বারী বাবু মুক্তি পরিষদ ওই সভার আয়োজন করে। খুলনা নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রত্যাখ্যান: মওদুদ

খুলনা সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘খুলনা নির্বাচনে যদি কোনো রকমের অনিয়ম হয় এবং কেন্দ্রদখল করে যদি ভোট চুরি ও ডাকাতি করে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়, তাহলে সেই নির্বাচনকে আমরা (বিএনপি) প্রত্যাখ্যান করব। সেই নির্বাচনের বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলন করব। আর খুলনার ভোটাররাও একটি সক্রিয় কর্মসূচি গ্রহণ করবে।’

গাজীপুরের চাইতে খুলনা সিটি নির্বাচনে আরো বেশি জোয়ার উঠেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে। ঢাকা এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাদা পোশাকে এজেন্টদের পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রদখল করে ব্যালট ব্যাক্সে ভুয়া ব্যালট পেপার ঢুকানোর জন্য। কারচুপি করবে, কেন্দ্র দখল করবে এবং বিএনপির এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে আসতে দেবে না। তাই ভয়-ভীতি দেখিয়ে গত তিনদিন তাদের বাড়িতে থাকতে দেয়নি।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘গাজীপুরে যে গণজোয়ার এই গণজোয়ার আগামী সাধারণ নির্বাচনেও আসবে। আর আওয়ামী লীগ সেই গণজোয়ারে ভেসে যাবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে প্রতিবাদ জানানোর। এই প্রতিবাদ শুধু মানববন্ধন ও সেমিনারে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। এখন ভয়ভীতি ও শঙ্কাকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে। সেটাও হবে। আর একটু অপেক্ষা করেন। আর মাস তিনেক ধৈর্য ধরেন। আওয়ামী লীগ শক্তিশালী আছে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির জন্য, সরকারের প্রশাসন ও তাদের ক্ষমতার জন্য। কিন্তু এটা ক্ষীণ হয়ে আসবে। আর জনগণের গণজোয়ার দেখে তখন এই প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবি আস্তে আস্তে সরে পড়বে। আমরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট করে জয়লাভ করব। কারণ দেশের মানুষ এখন অপেক্ষায় আছে শুধু নির্বাচনের সুযোগের।’

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘স্যাটেলাইট মহাকাশে পরিভ্রমণ করবে। এতে আমরা গর্বিত। কিন্তু আমরা জানতে চাই, এই প্রকল্পে কত অর্থ অপচয় ও দুর্নীতি হয়েছে? আমাদের দাবি হবে, সরকারকে জানাতে হবে যে, এই প্রকল্পে কত টাকা খরচ হয়েছে। এবং কীভাবে খরচ হয়েছে। কাদের মাধ্যমে খরচ হয়েছে। কাদেরকে এই চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কত টাকায় চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এবং পরিপূর্ণ মনিটরিং করার জন্য যে তত্ত্বাবধায়ন করা প্রয়োজন, সেটা করা হয়েছে কি না? এগুলো দেশের মানুষ জানার অধিকার রাখে বলে আমি মনে করি।’

শফিউল বারী বাবু মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.