‘সময়মতো ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে’

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি :: পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ সময়মতো ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন। এছাড়াও হাসপাতালের যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৪ মে) সেবা গ্রহীতাদের সাথে কর্তৃপক্ষের এক যৌথ মতবিনিময় সভায় এ প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়।

মূলত সেবা প্রদানে কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সেবা দাতা ও সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয।

দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) পটিয়ার সহায়তায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এ সভার আয়োজন করে।

বেলা বারোটায় হাসপাতালের হলরুমে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু ইউসুফ মোঃ ওয়াহিদ উল্লাহ।

সনাকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক ডা. হাসান শহীদুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সনাক-টিআইবি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রম তুলে ধরেন এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জসিম উদ্দিন।

এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিপি অ্যাড. বদিউল আলম, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, সনাক সদস্য শীলা দাশ, গ্রাম ডাক্তার সমিতির সভাপতি রফিক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সনজয় সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, এফডিএসআরের ক্লিনিক ম্যানেজার রূপস মুৎসুদ্দি, ডিআরআরএ’র নাঈম ফারুকী, নার্সিং ইনচার্জ অর্পিতা দত্ত প্রমুখ। সভার মূল পর্বে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা গ্রহীতারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেন এবং কর্তৃপক্ষ সেসব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর প্রদান করেন।

সভায় সেবা গ্রহীতাদের পক্ষ থেকে যেসব সমস্যা উত্থাপন করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আউটডোরে ডাক্তারগণ সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়া, দালালদের উৎপাত, ওষুধ স্বল্পতা, বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর না থাকা, রোগীদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়ার প্রবণতা, হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকা, সঠিক সময়ে এম্বুলেন্স না পাওয়া, ডাক্তার স্বল্পতা, ট্রলি ও হুইল চেয়ার না থাকা ইত্যাদি।

সেবা গ্রহীতাদের প্রশ্নের জবাবে সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু ইউসুফ মোঃ ওয়াহিদ উল্লাহ বলেন, এ হাসপাতালের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ডাক্তার ও নার্সরা আন্তরিকতার সহিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি ডাক্তারের পদ খালী রয়েছে।

ডাক্তারদের দেরীতে আসা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাক্তারগণ যাতে সঠিক সময়ে উপস্থিত হন সে বিষয়টি দেখা হবে। এক রোগীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসপাতালের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকার পরও যা আছে তা দিয়ে রোগীদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়।

রোগীদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইমার্জেন্সিতে কোন হার্টের রোগী আসলে তার কোন সমস্যা দেখা দিলে রোগীর জীবন রক্ষার স্বার্থে তাকে দ্রুত চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এখানে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হলে সে রোগিকে কখনোই অন্যত্র পাঠানো হয়না।

সভায় সেবা গ্রহীতা ছাড়াও সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.