সিটিনিউজবিডি : কোন ক্ষমতাবলে ফাহিমা খাতুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহা-পরিচালক পদে বহাল আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব ও ফাহিমা খাতুনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জেড আই খান পান্না।
গত রোববার আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। পরে জানতে চাইলে রিটকারীর আইনজীবী বলেন, ‘ফাহিমা খাতুন সর্বশেষ ঢাকা কলেজের শিক্ষক ছিলেন। সেখানে তিনি প্রফেসর হিসেবে থাকলেও প্রফেসর হওয়ার জন্য সরকারি যে নিয়মনীতি অনুসরণ বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা সেটা তিনি করেননি। তাই তিনি শিক্ষা ক্যাডারের এ সর্বোচ্চ পদে থাকতে পারেন না।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘১৯৮১ সালের বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা, জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ও ৮৬ সালের বিসিএস পদোন্নতি বিধিমালা লঙ্ঘন করে ফাহিমাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা এ কথাগুলো আদালতকে বলেছি। আদালত আমাদের বক্তব্য আমলে নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে এ রুল জারি করেছেন।’
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বোন।