ব্যাপক উন্নয়নের ফলেই খুলনায় মানুষের সমর্থন মিলেছে: প্রধানমন্ত্রী

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনার মানুষের সমর্থন মিলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকেলে গণভবনে খুলনার নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে এ কথা বলেন তিনি।

আর যারা গত ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, এমন সুষ্ঠু  নির্বাচন দেশে কবে হয়েছে! আগামীতেও যে কোনো  নির্বাচনে বিজয়ী হতে আওয়ামী লীগ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

রোববার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন খুলনার নবনির্বাচিত নগরপিতা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মেয়র ও কাউন্সিলররা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করায় খুলনার জনগনকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানকার উন্নয়ন এখন আরো ত্বরান্বিত হবে। আর বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলেই খুলনার জনগণ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো নির্বাচনে জয়লাভ আওয়ামী লীগের জন্য কোনো কঠিন কাজ নয়, তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা সরকারে এসে দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ৯ বছরে দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, জনগণের ভোট ও সমর্থন আওয়ামী লীগের পক্ষে রয়েছে। যতগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থা সার্ভে করেছে তারা দেখেছে গণমানুষের আস্থার জায়গায় আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক ওপরে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন পুরোপুরে স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। তারা দলীয় মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে রকম নিয়ম, তাতে আমাদের হাত-পা বাঁধা।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারত এবং যুক্তরাজ্যে এ ধরনের নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অংশগ্রহণ করে থাকেন।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে কবে হয়েছে? তারপরও যারা এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তাদের আমি এই জবাব দিতে চাই- বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যে খেলা, সিল মারা, ভোটের বাক্স চুরি করাসহ যত অপকর্ম হয়েছে তা শুরু করে গেছেন জিয়াউর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী খুলনা এবং বাগেরহাটের মোংলা এলাকার উন্নয়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বিএনপির আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কলকারখানা চালু, বিদেশে চিংড়ি রপ্তানি পুনরায় শুরু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত করে গড়ে তোলায় তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেই দেশে কোনো না কোনো অঘটন ঘটে, কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণেই জোর দেয় বলে জানান শেখ হাসিনা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.