আগ্রাবাদ এক্সেস রোড মৃত্যুকুপ !
গোলাম সরওয়ারঃ বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম নগরীর বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র হল আগ্রাবাদ। কিন্তু এই আগ্রাবাদ পৌঁছাতে এক্সেস রোড দিয়ে যাওয়া নগরবাসীকে পোহাতে হয় অসহনীয় ভোগান্তি। যারা আগ্রাবাদ এলাকায় থাকেন, গত বর্ষা পর্যন্ত তাদের অনেক অভিযোগ ছিল। নিজেদের দুর্ভাগ্য বলে তারা অনেক মানববন্ধন ও সরাকারের মনোযোগ আকর্ষণ করার মতো কর্মসুচী পালন করেছেন। এখন তারা অনেকটাই নির্বাক।
ভোগান্তির কথা জানতে চাইলে তারা প্রচন্ড বিরক্ত ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কি বলব, অনেক ছবি ছাপালেন, অনেক কিছু লিখলেন কে শোনে কার কথা। জনপ্রতিনিধিরা মুখে কলুপ এঁটেছেন। মানুষের দুর্গতি ও দুর্ভোগ আল্লাহর আরশকেও কাপিয়ে তুলছে।গত ১বছর ধরে ক্ষত বিক্ষত এ সড়কে পরতে পরতে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। এই গর্তগুলোতে জমে থাকে পানি। জোয়ারের সময় বা বৃষ্টি হলে এই যানবাহন চলারতো দুরের কথা পায়ে হেঁটে যাওয়াও দায় হয়ে যায়।
সড়কের একপাশ অস্বাভাবিক উচু করা হয়েছে। চলছে রাস্তার কাজ। গাড়ি চলাচল রয়েছে বন্ধ। অন্যপাশ দিয়ে গাড়ী চলছে বড় বড় গর্তে পড়ে হেলে দুলে। হচ্ছে প্রাণ হানির ঘটনা। আগ্রাবাদ সিডিএ আসাসিক এলাকা, ব্যাপারী পাড়া, রহমান বাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ, হালিশহর, ছোটপুল ও বড় পুলের বাসিন্দাদের এখন জোয়ার ভাটার সাথে জীবনের জীবিকাশক্তি ও নিত্যদিনের কর্মকান্ড পরিচালিত করতে হচ্ছে। সরেজমিনে সড়কটি দেখতে গিয়ে এ প্রতিবেদককেও পড়তে হয়েছে সীমাহীন বিড়ম্বনায়।
জনগনের ট্যাক্সের টাকায় সরকার পরিচালিত হয়। এমপি মন্ত্রী মেয়ররা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হন। সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করছেন। এবার শুরু করেছেন ক্রোকী পরোয়ানা। এ যেন কাটা গায়ে নুনের ছিটা। এক্সেস রোড এখন মৃত্যুকুপ। যারা মানুষের জীবন সম্পদ নিয়ে ছিনি খেলছে তাদের আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে খেসারত দিতে হবে।এই অবহেলা এই বিড়ম্বনার জবাব আগামী নির্বাচনী ব্যালটেই পাবেন।