মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির পর্যটকদের দর্শনীয় স্থান

0

জামাল জাহেদ , কক্সবাজার  :  কক্সবাজার জেলাধীন মহেশখালীর অন্যতম পর্যটক স্থান বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন আদিনাথ পাহাড়ের পাদদেশের চতুর্দিকে কি অপূর্ব সৌন্দর্য্য ও প্রাকৃতিক  লীলাভূমি। মহেশখালীর আদিনাথের চতুর্দিকে পর্যটন এরিয়া। বাংলাদেশের একমাত্র স্বাস্থ্যকর স্থান, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এর সঙ্গে সংযুক্ত মহেশখালী আদিনাথের বিশাল পাদদেশে সাগর সংলগ্ন পাহাড় বেষ্টিত পর্যটক স্থান ও ম্যানগ্রোভ বন ও মৌসুমি বাতাস সকলের মন জুড়ায়,মহেশখালি চর্তুদিকে সাগর বেষ্টিত মহেশখালী দ্বীপের অন্যতম দর্শনীয় স্থান আদিনাথ মন্দির।

বছরে লাখ লাখ দর্শনার্থীদের আগমন হয় কক্সবাজারে মহেশখালি আদিনাথ মন্দিরে কিন্তু ঘাটে চরম ভোগান্তিসহ আদিনাথ চূড়ায় বখাটেদের  উৎপাত,ছিনতাইকারির বেড়াজালে চরম নিরাপওাহীনতায় লাখো পর্যটকদের নিত্যনিমিওিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়ে,ফলে কমতে শুরু করেছে পর্যটকদের আনাগোনা,আদিনাথ ঘুরে কক্সবাজারে ফিরে আসা সিলেটের মারুফ হাসানের দাবি আদিনাথ স্পটে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা,পর্যটকদের কথার সাথে সুর মিলিয়ে ছোট মহেশখালীর চেয়ারম্যান জনাব সিরাজুল মোস্তফা জানান,অতিসত্বর যেনো প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আদিনাথ মন্দিরে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৭টা পর্যন্ত পুলিশি নিরাপওা ব্যাবস্থা জোরদার করা,যাতে নির্ভীঘ্নে মহেশখালির সাধারন জনগন সহ বিদেশি পর্যটকদের নিরাপওা বজায় থাকে।

মুলত মন্দিরটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২৮৮ ফুট উঁচু মৈনাক পাহাড় চূঁড়ায় আদিনাথ মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরের দৈর্ঘ্য ১০.৮৭ মিটার,প্রস্থ ৮.৬২ মিটার,উচ্চতা ৫.৯৩ মিটারতিনভাগে বিভক্ত প্রথম ভাগে ৩.৩৫ মিটার বর্গাকৃতির দু’টো পূজা কক্ষ রয়েছে। পূর্বকক্ষে বাণলিঙ্গ শিবমূর্তি আর পশ্চিম কক্ষে অষ্টভূজা দূর্গা মূর্তি। শিবের সাথে মন্দিরে একটি গভীর সম্পর্ক বলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে থাকেন। শিবকে রাবন কাঁধে করে কৈলাস পর্বত থেকে লংকার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে শিব এ মৈনাক পাহাড়ে কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন বলে তাদের বিশ্বাস। এ মন্দিরকে ঘিরে প্রতি বছর এখানে শিব চর্তুদশী মেলা আয়োজন করা হয়। শিব ভক্তের প্রভাবে মহেশখালীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান শারদীয় দূর্গোৎসব সাড়ম্বরভাবে উদ্যাপন করা হয় না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রচুর পূণ্যার্থী ও দর্শণার্থী এ উপলক্ষে মহেশখালীতে সমাগম ঘটে থাকে।

ছেলেমেয়ে পাওয়ার জন্য কিংবা প্রাপ্ত ছেলেমেয়ের দীর্ঘায়ূর জন্য মানস করে থাকে বলে অনেক নারী-পুরুষকে মূল মন্দিরের অভ্যন্তরে পশুপাখি বলি দিতে দেখা যায়।ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন ঘটে মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরে,কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বেশির ভাগ পর্যটক বা স্থানীয় লোকজন পাহাড়ী সৌন্দয্যময় দেখতে গেলে কিছু বখাটে যুবক কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়,মহেশখালীর হিন্দুপাড়ার জলদাশ জানায়,বখাটেরা সংঘবদ্ধ ভাবে উৎপেতে থাকে কখন ২জন বা তিন জন পর্যটক পাহাড়ে ওঠে,তারা সুযোগ বুঝে সব ছিনিয়ে নিয়ে ছটকে পড়ে,তারা সবাই মন্দিরের আশপাশের ছেলে বলে তিনি জানান।

আদিনাথ দেখতে আসা কুমিল্লার আরিফ জানায়,সে তার পরিবার নিয়ে আদিনাথে পাহাড়ে উঠলে কিছু বখাটে তাদের ঘিরে ধরে পরে মহেশখালি থানার এএসআই সেলিমকে রিং করলে,সে এসে পরিস্থিতি সামলে দেন বলে তিনি জানান। বিশেষসুএে আরো জানা যায়,পাশের হিন্দু পাড়া থেকে বখাটে উচ্ছশৃংখল যুবকেরা বাংলা চোলাই মদ সংগ্রহ করে, পাহাড়ে মদ পান করে,বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করে।এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে টক অব দ্যা মহেশখালীর ইয়াবা চালান মুলত মহেশখালীর আদিনাথ জেটি দিয়ে ও ছোটমহেশখালি কিংবা মুদির ছড়া পাহাড়ী জল সীমা দিয়ে চোরাচালানকারীরা খালাস করে,এলাকার সচেতনমহলের দাবি প্রশাসন যদি আদিনাথ সড়কে নিয়মিত পুলিশি ডিউটি বসায় তাহলে অবশ্যই নানা অপরাধের ইতি ঘটবে ফলে মহেশখালীর আইন শৃঙখলার উন্নতি হবে।এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মকসুদ মিয়ার নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি ঢাকায় বলে জানান,তবে ভবিষ্যতে নিরাপওা জোরদার করার আশ্বাস দেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.