আলোচিত মিতু হত্যার দুই বছরঃ পুলিশ বলছে এখনো আন্ডার ইনভেষ্টিগেশন

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাকান্ডের দু’বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল ৫ জুন। কাল অথবা পরশু আদালতে চুড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল হতে পারে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এমনটি জানিয়েছেন।

তবে তদন্ত কর্মকর্তা তাদের স্বভাব সুলভ বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন “আন্ডার ইনভেষ্টিগেশন”। গেল দু’বছর ধরে হত্যাকান্ডটির রহস্য নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে মূল ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে গুজবের ডালপালা ছড়ানো হয়েছে কখনো জঙ্গী, কখনো জামাত শিবির, কখনো স্বর্ণ বা ইয়াবা ব্যবসা, বাবুল/মিতুর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে গরু রচনা লিখেছেন হলুদ সাংবাদিক নামধারী ব্যাক্তিগন।

মামলার আসামীদের কয়েকজনের পরিবার ও পুলিশের পক্ষ থেকে আসামীদের গ্রেফতারের সময়, স্থান বা দুই আসামীর কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহতের ঘটনায় চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। শেষের দিকে মিতুর পরিবারের সাথে তার স্বামী ও মামলার বাদী বাবুল আক্তারের মতবিরোধ ও তাকে দায়ী করা নানা ঘটনার কারনে দুই বছর ধরে মানুষের মুখে মুখে ছিল এ হত্যা মামলা সংক্রান্ত প্রতিটি সংবাদ।

জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত আদালতে দাখিল করার অপেক্ষায় তৈরী করা অভিযোগ পত্রে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার কথাই উল্লেখ থাকছে।

উল্লেখ্য, গত দুই বছর আগে ৫ জুন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর ও আর নিজাম রোডস্থ বাসা থেকে শিশুপুত্র মাহির কে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকান্ডের শিকার হন। এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয় ৭জন।

এরা হলো মুছা, ওয়াসিম নবী, আনোয়ার, রাশেদ, শাহাজাহান ও কালু। অস্ত্র সরবরাহ করে ভোলা। এদের মধ্যে ওয়াসিম, আনোয়ার, ভোলা ও শাহজাহানকে গ্রেফতারের কথা শিকার করেছে পুলিশ। নবী ও রাশেদ কথিত বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে। মছার কোন খোঁজ নেই। বাকী রয়েছে কালু। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এমন দাবী পুলিশ কিংবা তার পরিবার কোন পক্ষ থেকেই পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.