ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনে মানুষ আর মানুষ

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনে টিকেট প্রত্যাশীদের উপছেপড়া ভিড়। টিকেট মিলবে কি মিলবেনা তার কোন নিশ্চয়তা না থাকলেও ২৪ ঘন্টা বা তারও অধিক সময় পর্যন্ত ষ্টেশনে অপেক্ষা করছেন টিকেট প্রত্যাশীরা। অনেকে রাত্রে এসে ষ্টেশনেই রাত যাপন করছেন।যাত্রীরা অভিযোগ করছেন টিকেট দিতে অসম্ভব ধরনের ধীর গতি টিকেট প্রত্যাশীদের লাইন আরো দীর্ঘ হচ্ছে।

গত ১ জুন থেকে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশী মানুষের যে ভিড় ছিল কমলাপুরে তা আজ কয়েক গুণ বেশি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে ঢাকা ছেড়ে যেতে ৫ম দিনের মতো টিকিট সংগ্রহ করতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার মানুষ। টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু করে মানুষে এই লাইন গিয়ে ঠেকেছে সড়কের কাছাকাছি।

১৪ তারিখের টিকিট পেতে গতকাল সন্ধ্যা বা তার আগে থেকেই টিকেট প্রত্যাশীরা লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন। মানুষের এই টিকেটের লাইন মধ্যরাত বা সেহেরির পর আরও দীর্ঘ হয়। আর সকালে তো কমলাপুর রূপ নেয় জনসমুদ্রে। কমলাপুরে এখন শুধু মানুষ আর মানুষ। টিকিট কাউন্টারের সামনে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।চট্টগ্রামেও একই অবস্থা।

আজ বিক্রি হচ্ছে আগামী ১৪ জুনের টিকিট। সকাল ৮টা থেকে মোট ২৬টি কাউন্টারে টিকেট দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্টার আছে দুইটি। অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, অদক্ষ কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে কাউন্টার চালানো হচ্ছে। যার কারনে টিকেট ছাড়তে অনেক দেরী হচ্ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, টিকেট যাতে কালোবাজারিতে যেতে না পারে তার জন্য সব কিছু দেখে টিকেট দেওয়া হচ্ছে।

টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয়, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। ঈদ উপলক্ষে বিক্রিত টিকেট ফেরতযোগ্য নয়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ট্রেনে কোনো আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে না। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধু যাত্রীদের অনুরোধে যাত্রার দিন আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে।

এদিকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন কালোবাজারিদের হাতে চলে যাচ্ছে টিকেট। এছাড়া আগামীকাল ৬ জুন দেয়া হবে ১৫ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.