বাংলাদেশের কর্মপরিবেশের উন্নয়নে ক্রেতাগোষ্ঠী খুশি: ইইউ রাষ্ট্রদূত

0

অর্থ ও বাণিজ্য, সিটি নিউজ :: ক্রেতাগোষ্ঠী বাংলাদেশের কর্মপরিবেশের উন্নয়নে খুশি। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশংসা করার মতো উল্লেখ করে বাংলাদেশ সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংক।

আজ সোমবার (৫ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে। এ জন্য যেসব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়, তা যথাসময়ে সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি মাসের ২৪ তারিখ ব্রাসেলসে সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। মিটিংয়ে অফিসিয়াল এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাংলাদেশের ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে। এ মিটিং বাংলাদেশের তৈরিপোশাক রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রেতাদের শর্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শ্রম আইন এবং ইপিজেড শ্রমিক আইন একইভাবে সংশোধন করেছে। একটি কারখানার ৩০ ভাগ শ্রমিকের পরিবর্তে ২০ ভাগ শ্রমিক চাইলেই এখন শ্রমিক সংগঠন তৈরি করতে পারবে। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বিগত ৫ বছরে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক কারখানাগুলো এখন বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব।

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের তৈরিপোশাক কারখানাগুলোর ত্রুটির পরিমাণ দুই শতাংশের কম, যেখানে ২ শতাংশের বেশি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের হিসাব মোতাবেক গত বছর বিশ্বের যে ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরিকে সনদ প্রদান করা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানসহ সাতটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের।

বাংলাদেশে প্রায় ২৮৯টি গ্রিন ফ্যাক্টরি তৈরি হচ্ছে। এখন জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল লেবার কাউন্সিলের মিটিং চলছে। সেখানে বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.