টানা বর্ষণে চন্দনাইশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : টানা ৩৬ ঘন্টার ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে চন্দনাইশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আভ্যন্তরিণ বেশ কিছু সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে আউশ ধানের বীজতলা,সবজিক্ষেত ও মৎস্য প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের খুঁটি, তার, লাইন, মিটারসহ ইলেক্ট্রিক সামগ্রী নষ্ট হয়েছে।
গত ১০ জুন ভোর থেকে গতকাল ১১ জুন বিকাল পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘন্টা ভারী বর্র্র্র্র্ষণ, ধমকা হাওয়া, পাহাড়ি ঢলে শঙ্খ নদীতে পানির স্রোত বেড়ে গিয়ে বিপদ সীমানার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকার আভ্যন্তরিণ বেশ কিছু সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। সে সাথে বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধানের বীজতলা, মৎস্য প্রকল্প, সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানি উচ্চতা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত ১০ জুন ভোর থেকে গতকাল ১১ জুন বিকাল পর্যন্ত চন্দনাইশে বিদ্যুৎ লাইন স”ল ছিল না। এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের জি এম আবুল বাশার বলেছেন, লাগাতার বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়েছে, ৭ স্থানে ক্রস-আরম, ২১ স্থানে তার ছিঁড়ে, ১৮টি মিটার নষ্ট হয়েছে, বেশকিছু জায়গায় গাছ ও গাছের শাখা পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তা বলেছেন, টানা বৃষ্টিতে পানি বেড়েছে। তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতি না হলেও এখনও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মৎস্য প্রকল্পের বিপদ কাটেনি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, টানা বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি সবজি ক্ষেত, আউশ ধানের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে এখনও ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। এদিকে বজ্রপাত ও বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে চন্দনাইশ সদর এলাকায় ৩টি টিভিসহ ১০টির অধিক টিভি, মাস্টার জাকের হোসাইনের ১টি ফ্রিজসহ একাধিক ফ্রিজ, মিটার, সার্ভিস তারসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সে সাথে টানা বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়কের উপর, পুকুরপাড়ে, বাড়ির আঙ্গিনায় বেশকিছু গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং ডালপালা ভেঙ্গে পড়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা বলেছেন, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চন্দনাইশে বেশকিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফসল ও ক্ষেতের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন ও পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়নি।