জি-৭ সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন

0

সিটি নিউজ পেস্কঃ জি-৭ শীর্ষ  সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা দেশে ফিরেছেন। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে) দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। দুবাইতে পাঁচ ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর এমিরেটসের আরেকটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৫টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টা) দেশের উদ্দেশে দুবাই ত্যাগ করেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুইবেকে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দেন। আরও ১৬ বিশ্বনেতার সঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তি দেশ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্লাটফর্ম গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) এর আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।

শেখ হাসিনা জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠকও করেন। টরন্টোতে কানাডা আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন। কানাডার মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত বব রে-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়।

শেখ হাসিনা সাসকাটচেওয়ান প্রদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও রফতানি উন্নয়নমন্ত্রী গর্ডন ওয়েন্ট কিউসি, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ট্রেনিং বিষয়কমন্ত্রী জেরিমি হ্যারিসন এবং প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। টরন্টো ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী কমার্শিয়াল কর্পোরেশন অব কানাডার (সিসিসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্টিন জেবলোকির সঙ্গে বৈঠক করেন।

সিসিসি প্রেসিডেন্ট সিইও মার্টিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কানাডীয় ব্যবসায়ীরাও ছিলেন।

সোমবার কানাডার মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত বব রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেন। শেখ হাসিনা বব রে কে আশ্বস্ত করে বলেছেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে কর্মরত বিদেশি ত্রাণকর্মীদের ভিসা সমস্যা সমাধান করা হবে।

বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে সাসকাটচেওয়ান প্রদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও রফতানি উন্নয়নমন্ত্রী গর্ডন ওয়েন্ট কিউসি এবং অভিবাসনমন্ত্রী জেরেমি হ্যারিসন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, শিক্ষা ও নার্সিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদারের অনেক সুযোগ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মিজানুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.