মেধাবী সনি নাথ পেল ‘প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু’র আর্থিক সহায়তা

0

সিটি নিউজ, রাঙ্গুনিয়াঃ  উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার মেধাবী ছাত্রী সনি নাথ। একদিকে দারিদ্রতার সাথে সহবাস অন্যদিকে অধম্য ইচ্ছা পড়া লেখার প্রতি। তাই তার ইচ্ছা শক্তিরই জয় হল। শত দারিদ্রতার মাঝেও সনি নাথ তার মেধা দিয়ে জয় করে নিয়েছে সবার মন। এবার উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

এবার সনি নাথকে আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু। প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর নেতৃবৃন্দ গত ২১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর রাঙ্গুনিয়া লালা নগরস্থ সনিদের বাড়ীতে গিয়ে তার ভবিষ্যৎ পড়া লেখার জন্য ৩২ হাজার টাকা অনুদান দেন।

সনি নাথ ও তার মা রুনু নাথের হাতে চেক তুলে দেন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী লায়ন আব্দুস ছালাম ও প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু মনসুর, এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর সহ-সভাপতি সেলিম চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মফিজুর রহমান,

রাউজান থানা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, জাহাঙ্গীর সিকদার, দুবাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শুকানুর মানিক, সাংবাদিক দিলীপ তালুকদার, জিগারুল ইসলাম জিগার, জগলুল হুদা, উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন, ইউপি সদস্য কাজী মঈন।

উল্লেখ্য, মেধাবী ছাত্রী সনি নাথ নিয়ে সাংবাদিক জিগারুল ইসলামের করা একটি প্রতিবেদন সাংবাদিক দিলীপ তালুকদার গত ২১ মে তার ফেইসবুক পেইজে শেয়ার করেন এবং লিখেন, “সমাজে অনেক বিত্তশালী, দানবীর, পরোপকারী, পরহিতৈষী, শুভাকাঙ্খী, দয়াশীল লোকের অভাব নেই। তাদের একটু দয়া দাক্ষিণ্য হবে এ শিক্ষার্থীর জীবনে চলার অমূল্য শক্তি’’।

সেটা আমিরাত প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলামের নজরে পড়ে। পরে তিনি তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সনি নাথকে তার ভবিষ্যৎ শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য উক্ত আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন। সুদুর আবুধাবী থেকে তিনি সনি নাথকে চেক প্রদানের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন।

জানা যায়, সনি নাথ যখন চতুর্থ শ্রেণিতে তখন মারা যায় তার বাবা। ভ্যান চালিয়ে সংসারেরর খরচের পাশাপাশি দু’সন্তানের পড়ালেখার খরচও চালাতেন। কিন্তু হঠাৎ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সনির পিতা সুভাষ নাথ। ছোটকালে বাবাকে হারায় সনি। এর তার পড়া লেখা এক রকম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

কিন্তু মেয়ের পড়া লেখার প্রতি অদম্য আগ্রহ দেখে তার মা রুনু নাথ মেয়ের পড়া লেখা চালিয়ে যাবার মনস্থির করেন। সনির মা কখনো শীতল পাটি বানিয়ে, কখনো অন্যের বাড়ীতে কাজ করে যে সামান্য টাকা পেতেন তা সংসার চালিয়ে মেয়ের পড়ালেখার খরচ যুগিয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.