তুরস্কের নির্বাচনে এরদোগান ও তার দলের জয়

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ তুরস্কে সাংবিধানিকভাবে শাসন কাঠামোতে পরিবর্তন আনার পর প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

তুরস্কে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। তার আগে তুরস্কে সাংবাবিধানিকভাবে শাসন কাঠামোতে আনা হয়। সে অনুসারে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনে এরদোগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পাশাপাশি তার দল একে পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।

নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে সরাসরি বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, এরদোগান ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররম ইনজে পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট।

এদিকে পার্লামেন্ট নির্বাচনেও এরদোগানের দল জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ৯৬ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা যায় জোটগতভাবে পার্লামেন্টে তারা ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পার্লামেন্ট নির্বাচনে জোটগতভাবে বিজয়ী হলেও পার্লামেন্টে একে পার্টির একাধিপত্যের অবসান হয়েছে।

এখন পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে তাদের জোট সঙ্গী এমএইচপির সমর্থন প্রয়োজন হবে। আর কোনও সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রধান বিরোধী জোট সিএইচপি অথবা কুর্দি সমর্থিত দল এইচডিপির সমর্থন প্রয়োজন হবে।

এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে এরদোগানকে দ্বিতীয় দফায় ভোটে অবতীর্ণ হতে হতো। তখন ১৫ দিনের ব্যবধানে মুহররম এনজের সঙ্গে এককভাবে লড়াইয়ে নামতে হতো তাকে। এখন সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় তুরস্কের বিভিন্ন শহরে এরদোগানের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করছে। রাতে তারা আলো জালিয়ে নেচে গেয়ে বিজয় উদযাপন করছে।

তুরস্কে ক্ষমতাসীন রিসেপ তায়েপ এরদোগান বিপুলভাবে জনপ্রিয় হলেও এবারই তাকে সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে বিশ্লেষকরা বলছিলেন। কারণ ইনজের সাম্প্রতিক জনসভাগুলোয় ব্যাপক লোকসমাগম হওয়ায় সেই ধারণা জোরদার হয়েছিল।

এরদোগান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তুরস্কের সংবিধানে তিনি যে পরিবর্তন এনেছেন তাতে প্রেসিডেন্টকে নতুন এবং ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এরদোগান ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট হবার আগে ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

এর মধ্যেই একে পার্টির সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টা হিসেবে ২০১৬ সালে তুরস্কে একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এরপর থেকেই দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে। এবারের নির্বাচনের পর সেই জরুরী অবস্থার অবসান হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.