ওরা মহিলা যাত্রীবেশে ছিনতাইকারী
সিটি নিউজ ডেস্কঃ ওরা নারী, ওরা মহিলা, ওরা মেয়ে মানুষ তাই তাদের প্রতি সবার সহানুভূতি অন্যরকম। কি বাসে, কি লঞ্জে, কি পথে প্রান্তরে। তারা বেছে নিয়েছে ছিনতাইয়ের মতো জঘন্য এক পেশাকে। তারা যায় বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে কাজ করতে।
সুযোগ বুঝে সেখান থেকেও মূল্যবান মালামাল নিয়ে সটকে পড়ে। তাদের রয়েছে শিক্তশালী সিন্ডিকেট। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় তারা এ অপকর্ম করে বেড়ায়।
তবে ছিনতাই করা হলো তাদের মূল বাণিজ্য।যাত্রী হয়ে তারা সংঘবদ্ধভাবে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে নারী বা পুরুষ যাত্রীর কাছ থেকে কৌশলে ছিনতাই করে পালিয়ে যায় । যে সকল বাসে ভীড় বেশি থাকে সেই বাসই এই নারীদের বেশি পছন্দ।
শুক্রবার নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় একটি বাসে এক মহিলার গলার চেইন ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে সাত নারী ছিনতাইকারী।
গ্রেফতার হওয়া সাত নারী ছিনতাইকারী হলো, মোছা: রাহেলা(৪০), মোছা: আফিয়া বেগম (১৮), ফুলতারা বেগম(২২), শাহার বানু (৫৫) ,সুলতানা বেগম(২৩),নাজমা বেগম(৩৫) ও মরিয়ম বেগম (২৫) ।
এ বিষয়ে কতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, শুক্রবার একটি বাসে করে যাচ্ছিলেন রুমু নামের এক মেয়ে। কিছুদুর যেতেই দেখেন পাঁচ ছয়জন মহিলা হুড়োহুড়ি করে বাসে উঠল। এরপর বাস চলা শুরু করলেই রুমু এসব মহিলার অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন।
পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও গায়ে লেগে থাকা, ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেওয়া, কৃত্রিম ভিড় সৃষ্টি করা। এর ফাঁকেই হঠাৎ তিনি তার ঘাড়ে একটা স্পর্শ অনুভব করেন। হাত দেওয়ার সাথে সাথেই দেখেন তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন উধাও।
সাথে সাথেই তিনি চিৎকার করে পাশে থাকা একজনকে ধরে ফেলেন। অন্য যাত্রীরা এসময় ছুটে এলে সুযোগ বুঝে কিছু মহিলা পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে রুমুর আটক করা মহিলা সবকিছু অস্বীকার শুরু করে।
এক পর্যায়ে সবাই মিলে সেখানকার টহল পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণ করে। টহল পুলিশ প্রথমেই আটককৃত মহিলার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কথার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে।
পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নগরী এবং সীতাকুন্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রা ভয়ঙ্কর করা ভয়ঙ্কর এই সাত ‘যাত্রী’ কে আটক করে। এসময় উদ্ধার করা হয় সেই স্বর্ণের চেইনও। পরে তাদের বিরূদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ভিড় বেশি সেসব গাড়িতে উঠতেই তারা বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। আর সেই মেয়ে যদি দাঁড়ানো থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। এসব গাড়িতে উঠে প্রথমেই তারা দাঁড়ানো মেয়েটির চারপাশে দাঁড়িয়ে যায়।
এরপর গাড়ির লক্কড়ঝক্কর লাফ, যাত্রীদের ভিড় সাথে এসব মহিলার ঠেলাঠেলি পেরিয়ে যখন মেয়ে গন্তব্যে পৌঁছায় তখন দেখে হয়ত তার ব্যাগ নতুবা মোবাইল নেই।