হলি আর্টিজেনে নিহতদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা
সিটি নিউজ ডেস্কঃ হলি আর্টিজান একটি বিবেষিকাময় রাতের নাম। একটি বেদনা বিধূর রাতের সকাল। ১৬ সালের এ দিনে কুখ্যাত আইএস নামধারী সন্ত্রাসীরা ন্যাক্কারজনক কাপুরুষের মতো নিরস্ত্র মানুষের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বিদেশী নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করেছিল। আজকের দিনে সেদিন বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
আজ রবিবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে নিহতদের স্বজনরা শ্রদ্ধা জানাতে আসতে থাকেন। ১০টার পর থেকে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
সকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমিসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা আর্টিজানে যান। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাসদুজ্জামান মিয়া হলি সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে বাড়ির মালিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হলি আর্টিজানে হামলার দুই বছরে রবিবার (১ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এ ছাড়া এ হামলায় নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম স্মরণে গুলশানের ১১৫ নম্বর সড়কে নির্মিত ‘দীপ্ত শপথ’ নামে ভাস্কর্যেরও উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দুই পুলিশসহ দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ড’পাঁচ জঙ্গি নিহত হন।
অভিযানে এক জাপানি ও দুজন শ্রীলংকানসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ৪ জুলাই গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন পর্যন্ত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাজীব গান্ধী, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ ও রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাাশ কারাগারে আছেন।