রাফিদা খান রাইফার মৃত্যু হয় ২৯ জুন শুক্রবার রাত ১২ টার পরপর। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে ৩০ জুন দুপুর একটায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অথচ ৩০ জুন শনিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে রাইফার দাফন সম্পন্ন হয়ে যায়। ২৯ জুন শুক্রবার শেষ রাতে চকবাজার থানা থেকে ডিউটি ডাক্তার দেবাশীষকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে উদ্ধত আচরণ করেন বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী। তাহলে রাইফার মৃত্যু ৩০ জুন হলো কী করে?
রাইফা ভর্তি হয়েছিল গলা ব্যাথা নিয়ে। রাইফার বাবা জানিয়েছে রাতে খিঁচুনি হলে তা বন্ধের জন্য ঘুমের ঔষধ সেডিল দেওয়া হয়। এরপরই রাইফার মৃত্যু হয়।
এক চিকিৎসক জানাল, এসময় দ্রুত খিঁচুনি বন্ধ করা না গেলে বাচ্চার মাথার রগ ছিঁড়ে গিয়ে এ্যাবনরমাল হয়ে যেতে পারে। তাই সেটি বন্ধের জন্য সেডিল দেওয়া প্রয়োজন। তবে মাত্রাতিরিক্ত সেডিল ঔষধটি দেওয়া হলে বাচ্চার হার্ট ফেলিউর হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রির্পোটে হার্ট ফেলিউর হয়ে রাইফার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও চিকিৎসকদের দাবি তাদের কোন ভুল ছিলনা।
নিহত রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অর্ধেক ইনজেকশন পুশ করা মাত্রই মেয়েটা ছটফট করতে থাকে।
ওই ঘটনার পর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই চিকিৎসক ডা. দেবাশীষকে আটক করে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।