সিলেটে আরিফুল হকই ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীঃ ফখরুল

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সিলেটে আরিফুল হকই ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী । তিনি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শরিক জামায়াতে ইসলামী ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।

আজ  বুধবার ( ৪ জুলাই ) বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট একক প্রার্থী দেবে এবং জোটগতভাবে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে।

এসময় সিলেট সিটি নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সেটা চূড়ান্ত হওয়ার পর জানতে পারবেন। তবে সিলেটে আমরা (বিএনপি) যে প্রার্থী দিয়েছি তা ২০ দল অ্যাপ্রুভ করেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিবেরর সঙ্গে বিএনপির কোন বৈঠক হয়নি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব কর্নসান আছেন, এটা তারা নিজেরাই জানিয়েছেন। এখনো জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস সময় বাকি আছে।

প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি নির্বাচনে সদ্য বিদায়ী মেয়র আরিফুল হককে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তবে সেখানে জামায়াতে ইসলামী দলের সিলেট মহানগরী সভাপতি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়েরকে প্রার্থী করে। তবে রাজশাহী ও বরিশালে জামায়াত কোনো প্রার্থী দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে জোটের নেতারা একক প্রার্থীর পক্ষে সম্মলিতভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ৩ সিটিতে ২০ দলীয় জোটের একজন করে প্রার্থী থাকবে। সেই মেয়র প্রার্থীর জন্য সবাই একযোগে কাজ করবে।

জামায়াত যদি প্রার্থিতা প্রত্যহার না করে সে ক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থী কি নির্বাচনে লড়বেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা আগেই বলেছি ৩ সিটিতে ২০ দল একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। এখানে আলাদা কোনো প্রার্থী থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, এটা নিয়ে জামায়তের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন কাজ করবে না। জামায়াত ২০ দলের একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার বিষয়ে আজকের বৈঠকে সম্মত হয়েছে।

জোটের সমন্বয়ক বলেন, আজকের বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির দৃঢ অবস্থানের সাথে একমত হয়েছেন জোটের নেতারা। এছাড়াও তার জামিন নিয়ে সরকার যে ছলচাতুরী করছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকারের তামাশা ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ও গুম করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈঠকে উপস্থিত জোটের নেতারা।

গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান করছি আমরা। একইসঙ্গে আমরা জোটের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবে এমপিওভুক্তির দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানাই।

ব্রিফিংয়ে জোটের বৈঠকে ১০ সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা তুলে ধরেন নজরুল ইসলাম খান।

এর আগে মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার,

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া,এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ,

এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম,  সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, খেলাফত মজলিশ মহাসচিব ড.আহমেদ আবদুল কাদের, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টি (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, (অপরাংশ) মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.