নগরীর হোটেল মোটেলগুলো একেকটা পতিতাপল্লী

0

দিলীপ তালুকদারঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ হোটেল মোটেলগুলো একেকটা পতিতাপল্লীতে পরিনত হয়েছে। থানা পুলিশকে মোটা অংকের মাশোহারা দিয়ে হোটেল মালিক, ম্যানেজাররা এসব অনৈতিক ব্যবসা চালাচ্ছে।নগরীর অন্যতম পর্যটন এলাকা ফয়’স লেক এলাকার হোটেল, মোটেল, ফাষ্ট ফুড ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলো এক একটা পতিতালয়ে পরিনত হয়েছে।

অথচ এই হোটেলগুলোর সামনে দিয়েই ফ’য়স লেক ও কনকর্ড রিসোর্ট এ যায় পর্যটকরা। এ পথ দিয়ে সপরিবারে যাবার সময় অনেকেই পড়ে যান বিড়ম্বনায়।

বুধবার ফয়’স লেক এলাকার ৪ টি আবাসিক হোটেল ও চাইনিজে অভিযান চালানো হয়। এতে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে ৪০ জন নারী পুরুষকে গ্রেফতার করেছে। এদের অধিকাংশই নারী। অনেকেই বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

ফয়’স লেকের প্রধান সড়কে পাশে অবস্থিত দারুচিনি, লেকসিটি, হেরিটেজ, মোটেল সিক্স আবাসিক হোটেল গুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়।

একই দিন কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন থেকে ১৮ জনকে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত মোটেল সৈকতে দীর্ঘ ধরে নানা অসামাজিক কর্মকান্ড চলে আসছিল। এমন অভিযোগ বিভিন্ন মহলের।

বুধবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিক্তিতে হোটেলটির দুটি স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ১৪ তরুণী ও ৮ যুবককে আটক করেছে। পুলিশ বলেছে, এসব নারী পুরুষ ম্যাসেজ পার্লারে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকাবস্থায় হাতেনাতে হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন জানান, পুলিশী অভিযানে ১৮ জন আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, এসব হোটেল মোটেল গুলোতে নারী ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসাও চলছে জমজমাটভাবে। আর এসব ব্যবসা চলে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরীর এক হোটেল ম্যানেজার বলেন, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের ক্যাশিয়াররা প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা নিয়ে যায়। অনেক সময় তাদের চাওয়াটা অনেক বেশী হয়ে যায়। এই বেশী চাওয়াটা মিটাতে না পারলেই হোটেল গুলোতে রেট দেওয়া হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.