‘শ্রম আদালতের মামলা নব্বই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে’

0

নিজস্ব প্রতিবেদক :: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলছে। এ আইনের অধীন শ্রম আদালতের মামলা নব্বই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হবে। এছাড়া সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করা হবে।

তিনি আজ শুক্রবার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকায় মহিলা শ্রমজীবী হোস্টেল এবং হাসপাতাল সুবিধাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে শুধু শ্রমজীবীদের চিকিৎসার জন্য  দুই’শ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী মাসে নারায়ণগঞ্জের চাষাডায় দেশের প্রথম পেশাগত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভুঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শ্রমিকলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

শ্রম অধিদপ্তরের এক দশমিক এক একর নিজস্ব জমিতে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় তলা এ হোস্টেলে ৫ শয্যার হাসপাতাল সুবিধাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র থাকবে। শ্রম অধিদপ্তর ও সেনাকল্যাণ সংস্থা যৌথভাবে এ প্রকল্প বা¯তবায়ন করবে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ হোস্টেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

'শ্রম আদালতের মামলা নব্বই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে'

এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে সুষ্ঠু ও সামাজিক মান সম্মত আবাসিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা, সামাজিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বসবাসরত মহিলা শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আধুনিক ও উন্নত শ্রম কল্যাণ সুবিধাদি সুনিশ্চিত করা, বিদ্যমান শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র হতে স্বাস্থ্য সেবা, শ্রমিক প্রশিক্ষণ, পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও অন্যান্য সেবার আধুনিক ও শক্তিশালী করা, কর্মক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে সময়োপযোগি প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপ সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং  সংশ্লিষ্ট অ লের শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক প্রতিনিধি ও মহিলা শ্রমিকদের জন্য তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধিতে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করা।

পরে প্রতিমন্ত্রী হোস্টেলের নির্মাণ কাজের নাম ফলক উন্মোচন ও প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.