সিটিনিউজ ডেস্ক:: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আগামী তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
মোশাররফ বলেন, ‘প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে তিন সিটিতে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় নিয়ে নিতে চায়। ইতিমধ্যে প্রশাসনের ব্যবহারে সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তিন সিটিতে ওয়ারেন্ট ছাড়া বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে আদালত ও ইসির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গ্রেপ্তার চলছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে অন্য জেলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে। পুলিশ সেখানে ইসি ও উচ্চ আদালতের কথা মানছে না। সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রে আমাদের কোনো এজেন্ট যেতে পারবে না। গেলেও তাদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় তখন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন হয়। আমাদের সুশীল সমাজ, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সবাই চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। কারণ খালেদা জিয়া ও ২০ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। ৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। সেটা ছিল বয়কটের নির্বাচন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ২০ দল ও দেশের ইসলামপন্থী সব দল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করেছিল।’
কয়লা ব্রিফকেসে নেয়ার মতো জিনিস না
কয়লা উধাও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ টন কয়লা উধাও হয়ে গেল। এটা তো একটা ব্রিফকেসে করে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো জিনিস না। প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি ও প্রতিমন্ত্রী কেউ এবিষয়ে কোনো কথা বলছেন না। এর মানে হলো-তাদের মধ্যে কোনো চেইন অব কমান্ড নেই।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা।