খোকা হত্যা মামলার আসামী চেয়ারম্যান মোরশেদ জেল হাজতে
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা খোকা হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলমকে আদালত অস্থায়ী জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার ১২ আগস্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল ইসলাম খোকা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলমের অস্থায়ী জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল বিকালে জায়গা সম্পত্তি ও ইউপি নির্বাচনের বিরোধের জের ধরে ধোপাছড়ি চিড়িংঘাটা এলাকায় উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল ইসলাম খোকাকে প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি করে, ছুরিকাঘাত, রড, হ্যামার, কিরিচ দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে খোকার ভাই জমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে ধোপাছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলমসহ ১৭ জনের নাম দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। সে মামলার সূত্র ধরে পুলিশ এজাহার নামীয় ৭ আসামীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে মো.নাসির উদ্দিন, মো. কাইসার, নুর হোসেন আদালতে স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে চেয়ারম্যান মোরশেদ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে মর্মে আসামীরা স্বীকারোক্তি দেয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম গত ১২ এপ্রিল মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে আত্মসমর্পন পূর্বক আগাম জামিনের প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট বেঞ্চ ৪ সপ্তাহের জন্য জামিনের আদেশ দেন। গত ১১ মে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চেয়ারম্যান মোরশেদ আদালতে আত্মসমর্পন না করায় গত ১০ জুন ধার্য্য তারিখে আদালত মোরশেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন। ফলে নিজকে অসুস্থ দেখিয়ে মোরশেদ গত ১৮ জুলাই পুণরায় মহামান্য হাইকোর্র্টে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত পরবর্তী ১ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান মোরশেদ গত ২৪ জুলাই চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত শুনানি শেষে গতকাল ১২ আগস্ট ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
১২ আগস্ট আসামি চেয়ারম্যান মোরশেদের পক্ষে জামিন স্থায়ী করার প্রার্থনা জানান। অপরদিকে বাদী পক্ষ আসামীর জামিন বাতিলের প্রার্থনা জানিয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামী মোরশেদের অস্থায়ী জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেন এড. ইব্রাহিম চৌধুরী বাবুল, এড. আবদুর রশিদ, এড. সামশুদ্দিন কালাম, এড. সামশুদ্দিন আহমেদ ছিদ্দিকী, এড. মাইনুল ইসলাম খোকন, এড. আবদুল হান্নান। আসামী পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এড.খোরশেদ আলম, এড. সমীর দাশ, এড.মো. ইকবালসহ কয়েকজন আইনজীবী।