‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে নৌবাহিনী’

0

সিটিনিউজবিডি : বাংলাদেশের নৌবাহিনী যাতে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সরকার এ বাহিনীর আধুনিকায়ন করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার বাগেরহাটের মংলায় নেভাল বার্থ দিগরাজে বানৌজা কে জে আলী, বানৌজা সন্দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়ার কমিশানিং এবং নবনির্মিত ল্যান্ডিং ক্রাফট ট্যাংক (এলসিটি) ১০৩ ও ১০৫ এর সংযুক্তিকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশকে সমৃদ্ধিশালী করার জন্য নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের নৌবাহিনী শুধু দেশে নয়, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেকোনো স্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে- এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।”

দেশের জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীকে ‘দক্ষ, আধুনিক ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি ত্রিমাত্রিক’ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দুটি সাবমেরিন সংযোজনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে, যা ২০১৬ এর মাঝামাঝি নৌবাহিনীতে সংযোজিত হবে।”

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মনে রাখতে হবে, আমাদের যে সীমিত সম্পদ, তা দিয়ে নৌবাহিনীর মতো একটি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যয়বহুল বাহিনীকে যুগোপযোগী রাখার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।”

দেশের অধিকাংশ নাগরিক সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট ‘সচেতন নয়’ বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের নৌবাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত লোকচক্ষুর অন্তরালে অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করছে।”

নৌবাহিনীতে নতুন যুক্ত হওয়া নৌযানগুলো দেশেই তৈরি হয়েছে। দুটি এলসিটি তৈরি হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে। আর ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ইউটিলিটি বানৌজা সন্দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়া তৈরি হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ডে।

ভবিষ্যতে দেশেই আরো উন্নত মানের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী-প্রধান, নৌবাহিনী-প্রধান, বিমানবাহিনী-প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.