জামাল জাহেদ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নির্জন স্থানে বোনের বাড়িতে একা পেয়ে লম্পট মুখ চেপে ধরে জোর পুর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা প্রকাশ করলে কিশোরীকে হত্যা ও তার বোনকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয় ধর্ষক।ওই ঘটনার জের ধরে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ তৈরী হয়েছে।
অসহায় পরিবারের ওই কিশোরী যাতে ধর্ষণের বিচার না পান এ জন্য স্থানীয় এক প্রভাবশালী ইউপি সদস্য লম্পটের পক্ষে গিয়ে কিশোরীর পিতা ও বিবাহিত বোনকে চাপ পয়োগ করছে।পরে ধর্ষণের গুরুতর অপরাধ ধামা চাপা দিতে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ইজ্জতের মুল্য ১০হাজার টাকার প্রস্তাব দেয় সমঝোতার জন্য। ওই প্রস্তাবে সম্মতনা হওয়ায় এখন বিপাকে পড়েছে ধর্ষিতা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭আগষ্ট বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের জালিয়া পাড়া এলাকায়।
এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মারুফুর রশিদ খান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ইউনিয়নের পশ্চিমকুল এলাকার কলিম উল্লাহর পুত্র ছমুদুল করিম প্রকাশ ছমুদুকে আসামী করা হয়েছে। বাদি অভিযোগে জানিয়েছেন ওই দিন তার কিশোরী কন্যা জালিয়া পাড়ায় বোনের বাড়িতে যান। শিশু পুত্রের চিকিৎসার জন্য বড় বোন ছোট বোনকে একা বাড়িতে রেখে পেকুয়ায় চিকিৎসকের কাছে যান। এ সুযোগে ওই লম্পট বাড়িতে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষন করে।পরে ওই ঘটনা জানা জানি হলে মেয়ের পরিবার স্থানীয় মাতবরদের কাছে নালিশ করে। বিষয়টি তড়িৎ নিষ্পত্তির জন্য ছমুদুর মামা শাহাব উদ্দিন ও তার পিতা কলিম উল্লাহ কিশোরীর দরিদ্র পিতাকে ১০হাজার টাকার প্রস্তাব দেয়।
এদিকে আইনের সহায়তা না গ্রহন করতে কিশোরীর পিতাকে নানা হুমকি অব্যহত রেখেছে মগনামা ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য বিএনপি নেতা নুর মুহাম্মদ লেদু। শুক্রবার সকালে একজন গ্রাম পুলিশকে কিশোরীর বোনের বাড়িতে পাঠিয়ে কোন ধরনের বিচার শালিসে না যেতে হাকাবকা করেছেন বলে কিশোরীর বোন জানিয়েছেন।পেকুয়াা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান কলেন, এ ধরনের অন্যায় কাজে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পুলিশকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।