চট্টগ্রামে বাইমক্স–২০১৮ অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বরে

0

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ জাহাজভাঙ্গা পুনঃব্যবহার শিল্পের জন্য সুপরিচিত হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহাজ নির্মাণকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং সময়ের সাথে সাথে তা আরও উন্নত হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ সরকার নতুন নতুন দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের মাধ্যমে এই শিল্পকে প্রসারিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্নরকম প্রণোদনা ও সঠিক নীতিমালা গ্রহণ করার মাধ্যমে সরকার দেশীয় জাহাজ নির্মাতাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।

স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আয়োজিত “বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন অ্যান্ড অফশোর এক্সপো (বাইমক্স)– ২০১৮” উদীয়মান এই শিল্পখাতকে বিশ্ব বাজারে সুপরিচিত করার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ। বাংলাদেশের মেরিটাইম শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম এর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আগামী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাইমক্স – ২০১৮।

এই তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি আয়োজন করেছে স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং এর আন্তর্জাতিক সহযোগী হিসেবে আছে ফায়ার ওয়ার্কস মিডিয়া গ্রুপ, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন অ্যান্ড অফশোরে এক্সপো (বাইমক্স) – ২০১৮ একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা একত্রিত হচ্ছে, বাংলাদেশের মেরিন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রামে।

শিপ বিল্ডিং, শিপ রিপেয়ার, শিপিং, মেরিটাইম ইঞ্জিনিয়ারিং, অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলজি, শিপ ব্রেকিং ইকুইপমেন্ট, ড্রাজিং ইকুইপমেন্ট এবং পোর্ট ও লজিস্টিক হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্টসহ সকল দিক থেকে একটি পরিপূর্ণ ও ব্যাপক আন্তর্জাতিক ব্যাবসা প্লাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।

এই প্রদর্শনীতে বিশ্ববিখ্যাত মেরিন শিল্প প্রতিষ্ঠান Palmarine, Schaller Automation, Masson Marine, Priboy, ZF Marine ,Shipping Supplies ltd সহ বিশ্বের প্রায় ১৪টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে। খুলনা শিপ ইয়ার্ড, Bangla CAT, Cummins , Celestial Tech সহ অন্যান্য বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

ডেক মেশিনারিজ, স্টিয়ারিং গিয়ারস, স্যাফটিং, গিয়ার বক্স, থ্রাস্টারস, রোলিং মেশিন, ক্যাটারপিলার মেরিন পারপাস ইঞ্জিন ইত্যাদিসহ সকল ধরনের পণ্য প্রদর্শনের জন্য ১৮,৬০০ বর্গফুট প্রদর্শনী স্থানে ১৬০টির ও বেশি বুথ থাকছে।

এই প্রদর্শনী শুধুমাত্র মেরিন ও অফশোর পণ্যই নয় বরং বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট, জাহাজ ডিজাইন, মেরিটাইম পরামর্শদাতা সংস্থা অংশগ্রহণ করবে। যেমন- METACENTRE LTD তাদের জাহাজের মডেলসমূহ মুদ্রিত ক্যাটালগে প্রদর্শন করবে।

শিপম্যানিং অ্যাসোসিয়েশন, মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) এবং তাইওয়ান এক্সপোবিশন অ্যান্ড কনভেনশন এসোসিয়েশন (টিইসিএ) সহযোগী অংশীদার হিসেবে এই আয়জনকে আরও পরিপূর্ণ করে তুলবে।

এই আয়োজনটি “বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মারিটাইম কনফারেন্স (বিআইএমএসি) – ২০১৮” ও বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনী দ্বারা পরিপূর্ণ থাকবে। “বিআইএমএসি – ২০১৮” দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম শিল্পের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

বিশ্বব্যাপী মেরিটাইম সম্প্রদায়ের জন্য বাংলাদেশে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন, যেখানে এই শিল্পের বিকাশ ও শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত। “বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন অ্যান্ড অফশোর এক্সপো (বাইমক্স) – ২০১৮” নেতৃত্বস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান সমূহকে একত্রে নিয়ে আসবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.