রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সু চির ভূমিকা ‘খুবই দুঃখজনক’: জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বিদায়ী প্রধান রাদ আল হুসেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নোবেলজয়ী এই নেত্রীর ভূমিকা ‘খুবই দুঃখজনক’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে একথা বলেন তিনি।

গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছিলো, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সব পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের করা প্রতিবেদনেও সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া বেসামরিক সর্বোচ্চ নেতা অং সান সু চিরও সমালোচনা করে বলা হয়েছে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ ঠেকাতে নিজের নৈতিক অবস্থান ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

তবে মিয়ানমার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, তারা জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনকে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাদের কোনও অভিযোগের সঙ্গেও তারা একমত নন।

রাদ আল হুসেন বলেন, ‘সু চি কিছু করার মতো পদে ছিলেন। তিনি সাফাই না গেয়ে চুপ থাকতে পারতেন। অথবা সবচেয়ে ভালো হতো যদি তিনি পদত্যাগ করতেন।’
সু চির মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হওয়ার প্রয়োজন ছিলো না মন্তব্য করে রাদ আল হুসেন বলেন, ‘তিনি বলতে পারতেন যে দেখুন আমি নমনীয় নেত্রী হতে পারতাম কিন্তু সেটা এই পরিস্থিতির মধ্যে নয়।’

বুধবার নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ঘোষণা দেয়, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি’র নোবেল পদক কেড়ে নেওয়া হবে না। কমিটি জানায়, অং সান সু চি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ১৯৯১ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য তার লড়াইয়ের জন্য। এছাড়া নোবেল পদকের নিয়ম অনুযায়ী, এ পুরস্কার প্রত্যাহারের কোনও সুযোগ নেই।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.