সিটিনিউজ ডেস্ক:: সব ক্ষেত্রে নতুন গতিশীলতার কারণে বৈশ্বিক দৃশ্যপট দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক; এই ত্রিমুখী সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন গতি ও চলমান বাস্তবতার সঙ্গে সমভাবে এগিয়ে যেতে হবে। মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে যৌথ প্রচেষ্টা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও অর্থায়ন প্রক্রিয়া গড়ে তোলার মাধ্যমে বিমসটেক ফোরামে আমাদের সহযোগিতা সম্প্রসারিত হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় চতুর্থ বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত একুশ বছরে বিমসটেকের কিছু ভালো সাফল্য আছে যদিও আরও বিপুল কাজ আমাদের সামনে পড়ে আছে।’ তিনি বলেন, ‘দৃশ্যমান ফল পেতে আমাদের বাস্তব সহযোগিতা এগিয়ে নিতে মৌলিক আইনি কাঠামো সংহত করা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২০১৬ সালে গোয়ায় অনুষ্ঠিত বিশেষ বিমসটেক রিট্রিট ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গোয়ায় গৃহীত ১৬ দফা কর্মপন্থার কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে, অনেকগুলো অচিরেই বাস্তবায়িত হবে।’
বিমসটেকের কিছু সদস্য দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগে বিদ্যুতের গ্রিড সংযোগের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যদের অংশগ্রহণে এটি বিমসটেক ইলেকট্রিসিটি গ্রিডে পরিণত হতে পারে।’
বিমসটেক থেকে দ্রুত সাফল্য পেতে আরও সমন্বিত, গুরুত্ব প্রদান এবং বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন গুচ্ছ থেকে ১৪টি খাত নির্দিষ্টকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জ্বালানি, দারিদ্র্য বিমোচন ও কৃষিখাত থেকে জনগণ সরাসরি অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে লাভবান হতে পারে যদি এগুলোকে ‘টেকসই উন্নয়ন’ নামে একটি গুচ্ছে শ্রেণিভুক্ত করা যায়। সিকিউরিটি, কাউন্টার টেররিজম, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ‘নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব’ নামে অন্য একটি গুচ্ছের আওতায় আনা হলে সেটি আমাদের সুরক্ষা দেবে,সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেবে। ‘পিপল টু পিপল কনট্রাক’ নামে তৃতীয় ক্লাস্টারের আওতায় আমাদের সংস্কৃতি ও জনস্বাস্থ্য আনা হলে সেটি আমাদের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।’’
বিমসটেক সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘টুওয়ার্ডস এ পিসফুল, প্রোসপারাস অ্যান্ড সাসটেইনেবল বে অব বেঙ্গল রিজন’। উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে আরও ভাষণ দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলনের চেয়ারপারসন কে পি শর্মা ওলি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাশো সেরিং ওয়াংচুক প্রমুখ। সূত্র: বাসস