দেশের উন্নয়নে খন্ডিত উন্নয়ন নয়,আমি ফিট-দেশ ফিট- ড.হোসেন জিল্লুর

0

গোলাম সরওয়ার,সিটি নিউজ :  তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড.হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সারা বাংলাদেশের ‘হেলদি বাংলাদেশ’ একটি প্রোগ্রাম শুরু করেছি। এটার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনারা জানেন বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। আমাদের এখন প্রয়োজন এ স্বপ্নটাকে কিভাবে সাজাচ্ছি চিন্তা করা। দেশে আমাদের সার্বিক উন্নয়নের সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে। খন্ডিত উন্নয়ন নয়।

আজ শুক্রবার ৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে শুরু করে ১২.৩০ মিনিটে ‘ওয়াকিং ফর বরকল’ (walking for barkal) সচেতনতার কর্মসূচির শেষে তিনি এসব বলেন।

দক্ষ সচেতন তরুণ সমাজ ও হেলদি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘চট্টগ্রাম রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ(সিআরআই)’ ও ‘হেলদি বাংলাদেশ’ উদ্যোগে বাংলাদেশের ১১ টি জেলায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচির আলোকে এবার আমি ফিট-দেশ ফিট স্লোগান নিয়ে এই প্রথম গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ওয়াকিং ফর বরকল’ (walking for barkal) সচেতনতার কর্মসূচি আগামীতে এ ধরেনর উদ্যোগ বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে আয়েজান করা হবে ।

তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ,পিপিআরসি এর চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (সিআরআই)- চট্টগ্রাম এর প্রধান সমন্বয়ক ড.হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে নিজ গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার বরকল গ্রামে ১০-১৫ কি.মি.এর অধিক পায়ে হেটে ‘হেলদি বাংলাদেশ’ ও সিআরআই উদ্যোগে এবং আমরা কমিউনিটি হাসপাতালসহ ও স্বপ্নবিলাস বিদ্যানিকেতন এর স্থানীয় সহযোগিতায় ‘ওয়াকিং ফর বরকল’ (walking for barkal) সচেতনতার শীর্ষক নামে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বরকল গ্রামের অসহায় দুস্থদের কল্যানের সংগঠন স্বপ্নবিলাস বিদ্যানিকেতন এর কার্যক্রম পরিদর্শনে আসলে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগতম জানান স্বপ্নবিলাস এর শিক্ষার্থী ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। এ সময় তিনি এলাকায় একটি পাঠাগার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

‘ওয়াকিং ফর বরকল’ কর্মসূচিতে ড.হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন,‘দক্ষ মানবসম্পদ ও আদর্শিক সমাজ গঠনে ধারাবাহিকভাবে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করতে হবে। দোষারোপের সংস্কৃতির পথ পরিহার করে সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আমাদের মন-মানসিকতার মধ্যে পরিবর্তন এনে সবকিছুর মধ্যে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের ‘হেলদি বাংলাদেশ’ একটি প্রোগ্রাম শুরু করেছি। এটার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনারা জানেন বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আমাদের এখন প্রয়োজন এ স্বপ্নটাকে কিভাবে সাজাচ্ছি। আমাদের সার্বিক উন্নয়নের সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে। খন্ডিত উন্নয়ন নয়। এ সার্বিক উন্নয়নের প্রয়োজনে এ হেলদী বাংলাদেশ কর্মসূচি। একই সাথে বাংলাদেশের অন্যতম শক্তি হচ্ছে এখন তরুণ সমাজ আমরা কমিউনিটি হাসপাতালসহ ও স্বপ্নবিলাস বিদ্যানিকেতন এর স্থানীয় সহযোগিতায় উদ্যোগে একটা ব্যতিক্রমি অনুষ্ঠান করে আমরা এই গ্রামে স্বাক্ষর রাখছি।

আমরা প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার আমরা হেঁটেছি ওয়াকিং ফর বরকল,এই গ্রামে। উদ্যোগটা নেয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সামনে জাতীয় নির্বাচন সবার দৃষ্টি ঐদিকে। তাই এই সময়টাতে আমরা মনে করেছি সচেতনাতার কর্মসূচি শহরে যখন হয়েছে আমরা এখন গ্রামে করি। আমরা সব সময় ক্ষমতার লড়ায়ে থাকি। গণমাধ্যমও তা দেখা যায়। কিন্তু লড়ায়ে জয়ী হয়ে তারা কি করবেন। সে বিষয়গুলো সামনে আনা দরকার। নাগরিকদের প্রত্যাশা কি, নাগরিকরা কি চায় এবং সে চাওয়াটা মনগড়া করলে হবে না। আলোচনার মাধ্যমেও করতে হবে।

ড.হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন আরো বলেন, আজকে বরকল গ্রামে পায়ে হাঁটলাম ১০০ জন তরুণ ও বিভিন্ন বয়সের লোকজন সাথে নিয়ে। গ্রামে ঘরবাড়ি হচ্ছে পরিকল্পনা নেই, যার ফলে গ্রামে জলবদ্ধতা হচ্ছে। ঢাকা শহর ও চট্টগ্রাম শহরেও জলবদ্ধতা হচ্ছে। প্রায় সব জায়গায় এ সমস্যা দৃশ্যমান। কারণ একটাই আমরা সঠিক পরিকল্পনা ও জবাবদিহীতার জায়গা রাখি না ।

আমাদের এই বিষয়গুলো সমাধান করতে শুধু সরকারের উদ্যোগ নিলে হবে না। সবার সচেতন হওয়া উচিত। সচেতন তরুণ সমাজ, সচেতন গ্রামবাসী-নগরবাসী এই সচেতনতার জন্য একটা প্রকল্প প্রয়োজন। প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ। সচেতনতার যে অভাবে জলবদ্ধতা হচ্ছে সমস্যাটা যেমন গ্রামে আছে শহরেও আছে তাই দু’টো উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার সার্বিকভাবে। সচেতন হওয়া সুস্বাস্থ্য ও হেলদী বাংলাদেশ গড়া। একই সাথে দক্ষিণ চট্টগ্রামে পরিবর্তনের যে ছোঁয়া গেলেছে।

একই সাথে গ্রামে আমরা দেখতে পায় যে, বিশাল তরুণ সমাজ রয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ কি বেকারত্ব হবে? তাদের ভবিষ্যৎ কি যেনতেন একটা কাজে আটকা থাকবে? না আজকের আমাদেরকে একটা অন্যতম দায়িত্ব নিতে হবে দক্ষ তরুণ সমাজ গড়া এবং দক্ষতার শিক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা আমি ব্যক্তিগতভাবে এ গ্রাম থেকে শুরু করতে চাই দক্ষতার শিক্ষার কর্মসূচি। এটা কোন দাতব্য কাজ নয়। মানুষ অনেক টাকা কড়ি ঢালছে, ভাল কাজে কেন খরচ করবে না।

ভাল দক্ষ মানের শিক্ষা যদি আমরা দিতে পারি, তাহলে সবাই এগিয়ে আসবে। সচেতনতার মাধ্যমে আমরা পরিবেশকে অনেক উন্নত করতে পারব। একই সাথে উন্নয়নের যেন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়। জলবদ্ধতা হচ্ছে উন্নয়নের পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার ফল। আমরা সেগুলো থেকে শহরকে মুক্ত করতে চায়, গ্রামকে মুক্ত করতে চাই, সে জন্য ওয়াকিং ফর বরকল আজকে এখানে শেষ হলো। বাংলাদেশের সব জায়গায় এটা হবে। কথার বাহুল্য আমরা রাখব না। আমরা দক্ষ তরুণ সমাজ ও হেলদী বাংলাদেশের মাধ্যমে সারা বিশ্বে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখব।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন আমরা হাসপাতালের ম্যনেজার মো: ইসমাইল,মাহমুদুল হক আনসারী,মো: ইদ্রিস, ওডেবের এরিয়া অফিসার মাহমুদুল হক, শিক্ষক ফরহাদ হোসেন, এডভোকেট আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইউনুছ, সমাজসেবক দিদারুর রশিদ কাজেমী, আবু তাহের,নুরানী মাদরাসার সম্পাদক আবু নাছের চৌধুরী, সাংবাদিক এড.দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক শামসুল ইসলাম টগর,সাংবাদিক শিবলী ছাদেক কফিল, সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার, ছাত্রনেতা জি এম শাহাদাৎ হোসেন মানিক, স্বপ্নবিলাস বিদ্যানিকেতনের উদ্যোক্তা মো: সাইফুদ্দিন,জি এম জাহেদুল আলম, কিবরীয়া হোসেন আজম, মো: কায়কোবাদ মজনু, শতাধিক শিক্ষার্থীসহ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.