চসিকের ১৬৩২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

0

গোলাম সরওয়ার : নির্ধারিত সময়ের দুইমাস পর সোমবার নগর ভবনের কেবি আবদুস ছাত্তার মিলনায়তনে বাজেট ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সকাল ১১টায় বাজেট ঘোষণার কথা থাকলেও মেয়র বিদেশ সফর শেষে নগর ভবনে প্রবেশ করেন দুপুর পৌণে দুইটায়। উন্নয়ন অনুদান ও বকেয়া কর আদায়কে আয়ের মূল খাত দেখিয়ে ২টার দিকে মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১৬৩২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন ।
সরকারদলীয় মেয়র আ জ ম নাছির সরকারি অনুদান পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ।
বাজেট বক্তৃতায় আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, সরকার চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে তাকে যথাযথ বরাদ্দ দেবেন। যেটি দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বপ্নের মেগা সিটি নির্মাণ করতে পারবেন। চসিক নগর ভবন ১০ বছরেও নির্মিত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন চলতি বছরের মধ্যে নির্মান কাজ শুরু হবে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে নগর ভবনের নির্মান কাজ শেষ হবে ।
প্রস্তাবিত বাজেটে তিন ধরনের কর বাবদ মোট আয় ধরা হয়েছে ৪৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বকেয়া কর ও অভিকর খাতে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৯৫ লাখ ৩ হাজার টাকা আয় ধরা হয়েছে। অন্যান্য কর বাবদ আয় ধরা হয়েছে ১৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
এছাড়া সরকার থেকে প্রাপ্তি বা উন্নয়ন অনুদান খাতে ৯৭২ কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা । ঘোষিত বাজেটে নগরের উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ৭৮৫ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে ২৭৫ কোটি টাকা, পরিচ্ছন্নতায় ৩০ কোটি টাকা, সড়কবাতিতে ১৫ কোটি টাকা, শিক্ষায় ৩০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যে ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, যোগাযোগে ১৬০ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতে ৪৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে বেতন, ভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে ১৯৭কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) অর্থবছরের মোট বাজেট ছিলো ১ হাজার ১৯৫ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তিন ধরনের কর বাবদ মোট আয় ধরা হয়েছিল ৪৩৭ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে আধুনিক ও বিশ্বমানের নগর গড়তে সকলের সমন্বয় প্রয়োজন, সমন্বয় ছাড়া কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় । পরিশেষে চট্টগ্রাম মহানগরীকে প্রথম ধাপে ক্লিন সিটি এবং পরবর্তী ধাপে গ্রিন সিটিতে পরিনত করার জন্য সর্বস্তরের নগরবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছে ।

বাজেট অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিকের অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শফিউল আলম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, চসিকের সচিব রশিদ আহমদ, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

এ ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র, সকল ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কমিশনার এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা ওয়ার্ড কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.