শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী স্বাচ্ছন্দে পারাপার হতে পারবে: মেয়র
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাকলিয়া চাক্তাই ডাইভারশন খালের ওপর নির্মিত ভেলী ব্রীজ স্থানীয় বাসিন্দাদের পারাপারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন ফিতা কেটে ব্রীজ ও রাস্তার রিটারনিং ওয়াল এবং আরসিসি রাস্তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সিটি মেয়র বলেন নগরীর সড়ক পাকাকরণের লক্ষ্যে ১২৩০ কোটি একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক নেটওয়ার্ক প্রকল্পের নামে এ প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। বর্তমানে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে যে সমস্ত কাঁচারাস্তা রয়েছে ইতোমধ্যে তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে। এ প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে এর আওতায় নগরীর সকল কাঁচারাস্তাকে পাকারাস্তায় উন্নিত করা হবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে নগরে আর কোন কাঁচারাস্তা থাকবে না।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মেয়র আরো বলেন আমি দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা পরিচালিত না হয়ে কর্পোরেশনের সকল কর্মকান্ড দলীয় কর্মকান্ডে উর্ধ্ব থেকে পরিচালনা করছি। দল-মত নির্বিশেষে সকল কাউন্সিলরদেরকে উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করেছি। এর ফলে বিগত ৩ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে বিগত বছরগুলোতে তা হয়নি। আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। কাজের মাধ্যমে আমি নগরবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিতে চাই। অনুষ্ঠানে স্বাগতিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম জাফরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এই মে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা পারভিন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, মনিরুল হুদাসহ থানা, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বছরের প্রথম দিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রাম নগরীর জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খাল খনন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে এই ভাইভারশন খালের উপর ব্রীজ সমূহ ভেঙ্গে ফেলা হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না করে সেতু ভেঙ্গে ফেলায় রসুলবাগ আবাসিক এলাকা,বাকলিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও বাকলিয়া আর্দশ বালিকা বিদ্যালয়সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী খাল পারাপারে বিপাকে পড়েন। শেষতক খাল পারাপারের জন্য নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দু”পারের হাজার হাজার মানুষ এই নড়বড়ে সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে থাকে।
এই সংবাদ সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের নজরে আনা হলে তিনি পবিত্র হজে যাওয়ার প্রাক্কালে জরুরী ভিত্তিতে চাকতাই ডাইভারশন খালের উপর অস্থায়ী ব্রীজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তারই নির্দেশনায় এই বিকল্প খালের উপর বিএড কলেজ গেইট ও রসুলবাগ এলাকায় ৩৬ফুট দৈর্ঘ্য ৬ফুট প্রশস্থ বিশিষ্ট ২টি স্টীলফুট ব্রীজ নির্মাণ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন । ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ব্রীজ ২টি নির্মিত হওয়ায় শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী স্বাচ্ছন্দে পারাপার করতে পারবে। এ ছাড়া জাইকার অর্থায়নে ৬০০ মিটার রিটারনিং ওয়াল এবং আরসিসি রাস্তা নির্মিত হয়।
আলাপকালে স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন শহরের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা সাঁতার জানে না। নড়বড়ে সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার নিয়ে আমরা অভিভাবকরা শংকায় থাকতাম। এই ব্রীজ নির্মানের ফলে অভিভাবকগন সেই শংকা থেকে মুক্ত হলো। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানান জনাব তৌহিদ।