চেমন আরা তৈয়ব পটিয়াবাসীর অহংকার
জুবায়ের সিদ্দিকীঃ ছিলেন ছাত্রলীগের নেত্রী। রাজপথ, সভা, সমাবেশ, আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের (১৯৮৯-৯১ সাল) সদস্য হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে এখন আওয়ামীলীগের মানচিত্রে শীর্ষ একজন জনপ্রিয় নারীনেত্রী চেমন আরা বেগম।
পটিয়ার কৃতি সন্তান চেমন আরা তৈয়বের স্বামী ডা. মো. আবু তৈয়ব প্রাক্তন সিভিল সার্জন ও প্রাক্তন পরিচালক বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড ইনকেশান বিজিনেস। আলহাজ্ব হাফেজ জামাল উদ্দিন আহমদ ও মরহুমা কুলসুমা বেগমের কন্যা তিনি। পটিয়া উপজেলার মনসা গ্রামে এই মহিয়সী নারীর জন্ম। এক কন্যা ডা. ফারহানা নিশাত সেহেলী (এম.বি.বি.এস) সিসিভি (বারডেম), এম.আর.পি.সি মালয়েশিয়া ইউনিভার্সিটি অব মালয়তে এম.পি.এইচ কোর্সে অধ্যয়নরত। এক্স লেকচারার ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। সহ-স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
ছেলে প্রকৌশলী আহমদ ফাহাদ তৈয়ব বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে কর্মরত এবং নির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, চট্টগ্রাম। এম.এ এল.এল.বি পাশ করেও পুরোদস্তর রাজনীতিবিদ হয়ে জড়িয়ে পড়েন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও জনহিতকর কল্যানমুলক কাজে। জননেত্রী শেখ হাসিনার অশেষ আন্তরিকতায় নবম জাতীয় সংসদ আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনে (৩০৯) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক ) ও চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) এর সংসদ সদস্য হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে হয়েছেন প্রশংসিত। সরকারী ও ব্যক্তিগতভাবে সফর করেছেন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, চীন, ইন্দোনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, ভুটান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশ।
বর্তমানে সভাপতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, কার্যকরী সদস্য বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ, বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদ বাংলাদেশ, উপদেষ্ঠা বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, সাবেক সাধারন সম্পাদক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ (১৯৯৮-২০১৭) ইং পর্যন্ত, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ২০০৬-২০১৩ইং।
কার্যকরী পরিষদ সদস্য ছিলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের। ১৯৮৪-১৯৮৮ইং পর্যন্ত ছিলেন বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। রাজনীতির গন্ডির বাইরে সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। সহ-সভাপতি পটিয়া সমিতি ঢাকা, চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকা, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, ডায়াবেটিক সমিতি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, রোগী কল্যান সমিতি চট্টগ্রাম, পটিয়া ক্লাব, চরকানাই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পটিয়া, মনসা স্কুল এন্ড কলেজ পটিয়া, ও শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার পটিয়া ও চাঁটগা ভাষা পরিষদ, চট্টগ্রাম।
২০১৪ সালে বিএনপি-জামাতের তান্ডবের সময় জনগনকে সাথে নিয়ে চেমন আরা তৈয়ব প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় সক্রিয় ছিলেন রাজপথে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার পর তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগাম-১৩ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া), চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) এর সংসদ সদস্য থাকাকালীন প্রচুর উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দিরসহ নানা কাজে তার আন্তরিকতা ও শ্রমের সুফল মানুষ ভোগ করছে। একজন নারীনেত্রী হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন যা অনেকের কাছে ইর্ষনীয় হয়ে উঠেছে। চেমন আরা তৈয়ব দক্ষিণ চট্টগ্রামে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে পারছেন।
চেমন আরা তৈয়ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসেপ্টটি তার এক অসাধারন নান্দনিক পন্থা বলে শুধু অনুধাবন করেন না, এটি বাস্তবায়নে ভুমিকা অনস্বীকার্য বলে মনে করেন। বিশ্ব আজ এগিয়ে যাবার যে কৌশল কিংবা মাধ্যম তা হল প্রযুক্তি। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। অর্থনীতি আজ মুক্তির পথ বের করে দিয়েছে। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে যেন ঘোষনা করছে আমরা বাঙ্গালী জাতি ফিরছি সামনের কাতারে।
সুশীল ও টেকসই সমাজ বিনির্মানের রাজনীতির ভুমিকার প্রশ্নে চেমন আরা তৈয়ব আপোষহীন। এই রাজনৈতিক অর্থবহ চর্চার অনিবার্যতা করে ভাব ভাবনার মুল প্রেরনাকারী উৎস বলে তিনি সেই শর্তে গর্ববোধ করেন। চেমন আরা তৈয়ব মনে করেন, বাঙ্গালী জাতির অভিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে তার স্বপ্নের ক্ষুধা, দরিদ্রতামুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর তনয়া আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে নি:স্বার্থভাবে কাজ করতে হবে।
দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগনের প্রত্যাশীত আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় অধিষ্টিত করার জন্য সকলকে কার্যকর ও দৃশ্যমান ভুমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিগত ১০ বছরেরর অভুতপুর্ব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে তা অতীতের কোন সরকার করতে পারেনি। এই সমস্ত উন্নয়নের সঠিক প্রচার ও প্রসার তৃনমুল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পদ-পদবীর উর্দ্ধে উঠে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ কাজ করার কোন বিকল্প নেই।
সরকারের উনয়নের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওয়ার নির্মান, বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভার নির্মান, কদমতলী ফ্লাইওভার নির্মান, চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড় ও কর্নফুলী ট্যানেল নির্মান করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এ ভাবে পটিয়াতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের মুকুটে উজ্জ্বল সাফল্যের পালক যুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আমাদের আত্বতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না।
’৭১-’৭৫ এর ঘাতক, গনতন্ত্র হন্তারক, বর্নচোরা ও দেশবিরোধী শক্তি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে ষড়যন্ত্রের থাবা বিস্তার করছে। তারুন্যকেও ওরা বিভ্রান্ত করতে চায়। দল ও সরকারের প্রতিপক্ষরা পদে পদে বিছিয়ে রেখেছে প্রতিবন্ধকতার কাঁটা। এই অবস্থায় জাতির স্বপ্নীল সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থক ছাড়াও সকল নাগরিকের সচেতন ভুমিকা জরুরী বলে মনে করেন চেমন আরা তৈয়ব। দেশের ব্যাপক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। কোন ইস্যু পেলেই এরা গুজব ছড়ায়। আওয়ামী লীগকে ভয় দেখাবেন না। আওয়ামী লীগ গন সংগঠন।
তিনি বলেন,’ আখতারুজ্ঝামান চৌধুরী বাবু দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নয়ণের রূপকার। চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী ইতিহাসের পাতায় লেখা একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। দুজনের বিদেহী আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি। এ সরকারের আমলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে চেমন আরা তৈয়ব মনে করেন। তার ধারনা, জনগনের ম্যান্ডেট কখনো ব্যর্থ হবে না। দক্ষিণ চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের সাফল্যকে ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। চেমন আরা বেগমের রাজনীতির ধারা ত্যাগ, শ্রম ও মেধায় অগ্রসরমান।
বঙ্গবন্ধুর এক আপোষহীন সৈনিক, রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রনী ভুমিকা পালনকারী চেমন আরা তৈয়ব তৃনমুলের রাজনীতির ধারাপাত শেষ করে দলের শীর্ষ পদে অধিষ্টিত হয়েছেন। নির্যাতন, হামলা, মামলাকে কখনো পরোয়া করেননি। একজন নারীনেত্রী হওয়াতে অনেকে অনেক সময় রুখে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছেন তার অগ্রযাত্রাকে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে মানুষের দোয়াতে এগিয়ে গেছেন সামনের দিকে। কোন বাধাই তাকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি। চেমন আরা তৈয়ব কোন কোন্দল বা বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি পছন্দ করেন না।
ক্লিন ইমেজের এই নারী নেত্রী এবার পটিয়া থেকে সরাসরি নির্বাচন করতে আগ্রহী। পটিয়াবাসী ও আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতাকর্মীদের দাবী এবার যেন তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনিই পারবেন পটিয়ার উন্নয়নের অগ্রযাত্রা জোরদার ভাবে অব্যাহত রাখতে সব বিভক্তি ও রাজনৈতিক অজুহাতের ভিন্নতা ঠেলে জাতির মুক্তির প্রতীক বঙ্গবন্ধুর নৌকা, আওয়ামী লীগের নৌকা, শেখ হাসিনার নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে । সাহসী এই নারীনেত্রীর সংগ্রামী জীবন ও রাজনীতি হোক দেশ ও জাতির কল্যানে।