চট্টগ্রাম-১০ আসনঃ সম্ভাব্য প্রার্থীদের দখলে মাঠের রাজনীতি

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ  চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-পাহাড়তলী) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। এই আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে রয়েছেন প্রবীণদের সাথে একাধিক তরুণও। মূলত মনোনয়ন লাভের আশায় প্রবীণ এবং তারুণ্যের পদচারণায় ডবলমুরিং-হালিশহর-পাহাড়তলীর প্রত্যন্ত অঞ্চল বেশ জমে উঠেছে।

এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফছারুল আমীনসহ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে আছেন সাবেক মেয়র এম.মনজুর আলম, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ জাবেদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি শিল্পপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু।

দু’বারের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. আফছারুল আমীন আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান। চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর কোতোয়ালী আসনকে ভাগ করে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে গঠিত হয় চট্টগ্রাম ১০ আসন। এরপরের দু’টি নির্বাচনেই জয় পেয়েছেন ডাঃ আফছারুল আমীন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন ডা. আফছারুল আমীন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি জয় লাভ করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো মনোনয়ন চাইবেন ডা. আফছারুল আমীন। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমার এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড আমার গোছানো। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠোন বৈঠক শুরু করেছি অনেক আগে থেকেই। এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। কেন্দ্র কমিটিও আমি করে রেখেছি। নির্বাচন আসলে অনেকেই মনোনয়ন চায়। কিন্তু মনোনয়ন দিবেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই আসন থেকে আমাকে বারবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমি গত সাড়ে ৯ বছরেরও বেশি সময় এলাকার মানুষের সাথে ছিলাম। তাদের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে ছিলাম। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি। কর্মীদের নিয়েই চলেছি। সুতরাং আবারও মনোনয়ন চাইবো এবং আশা করি পাবো’।

তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমুল নেতাকর্মীদের অভিযোগ,’দুই বারের সংসদ সদস্য ও নগর রাজনীতির সিনিয়র নেতা হলেও তাকে দেখা যায় না দলের কোন কর্মসুচীতে এবং দলীয় সভায়। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। নাজুক অবস্থা এ আসনের রাস্তাঘাটের। আছে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির জলাবদ্ধতার দীর্ঘদিনের সমস্যা। এসব দুর করার কোন উদ্যোগ তিনি গ্রহন করেননি।

যে কারনে তাঁর নির্বাচনী এলাকার মাঠ দীর্ঘদিন ধরে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দখলে। তারা বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও জনসেবামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে হাজির হচ্ছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম বাংলাদেশ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, ‘সারাদেশে নেত্রী ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজছেন। ১৯৭৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শহীদ মৌলভী সৈয়দ আহমদ ও আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ জিয়া সরকারের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ‘চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র’ মামলায় ঢাকা ক্যান্টনম্যান্টে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

৪ বছর কারা ভোগের পর ১৯৮০ সালে মুক্তি পাই। সেই থেকে রাজনীতি থেকে আর পিছ পা হইনি। দলের দুর্দিনে কাজ করেছি দলের জন্য। এতোদিন দল থেকে কিছু চাইনি। দীর্ঘদিন পর দল থেকে মনোনয়ন চাইবো। এখন তো আমাদের মনোনয়ন চাওয়ার বয়স হয়েছে। নেত্রী যদি মনে করেন হয়তো মনোনয়ন দিতে পারেন। এই আশায় প্রার্থী হয়েছি।’ সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করে আসছি। দলের জন্য আমাদের পরিবারের অনেক ত্যাগ আছে। তাই এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবো। যদি নেত্রী (দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচন করবো।

এই আসনের দুই তরুণ প্রার্থী নগর যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ ও আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু । দুজনেরই রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত জননেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এ আসনে নিজের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে শক্ত অবস্থান গঠে তুলেছেন নগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নানান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা ধরে রেখেছেন তিনি।

এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম ১০ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মাঠে নামলেও তার প্রস্তুতি দীর্ঘদিন আগেই শুরু হয়েছে। ফরিদ মাহমুদ বলেন, ‘এলাকায় সকল কর্মকাণ্ডে আছি। সৃজনশীল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সরকারের নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুর্গত এলাকার মানুষের কাছে যাচ্ছি। সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনেও আমার অংশগ্রহণ আছে। মানুষ এখন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি সংগঠনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারবো’।

ফরিদ মাহমুদ বলেন, চট্টলবীর আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরামর্শে আমি জনগণের সুখে দুখে পাশে থেকে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারের সারাদেশের উন্নয়নের প্রকল্পগুলো জনগের মাঝে তুলে ধরতে গিয়ে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। সদিচ্ছা থাকলে এ আসনের জনগণের জন্যে অনেক কিছুই করা সম্ভব। এখানে সংকট যেমন আছে, অপার সম্ভাবনাও আছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনীত করলে আমি জনগণ ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা চালাবো। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফরিদ মাহমুদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে এই নির্বাচনী এলাকা। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে সম্পুর্ন আশাবাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তাঁর কাছ থেকে রাজনীতি শিখেছি। তাঁর উৎসাহে আমি নির্বাচনী মাঠে নেমেছি। সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে ঘরে ঘরে যাচ্ছি।

এই আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থেকে তিনবার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হওয়া এম মনজুর আলম ২০১০ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে সিটি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে আবারও মেয়র প্রার্থী হন। তবে নির্বাচনের দিন তিনি বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। সমপ্রতি সামাজিক কর্মকাণ্ডে আবারও সরব হয়েছেন শিল্পপতি ও দানবীর হিসেবে পরিচিত মনজুর আলম।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন এমন কথা লোকমুখে শোনা গেলেও এবার তিনি মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘সবাই বলছেন আমি আওয়ামী লীগ থেকে যেন নির্বাচন করি। আমি সমাজসেবা নিয়ে আছি। রাজনীতিও সমাজসেবার অংশ। সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করে চলেছি। আমি এক মুহূর্তও বসে নেই। প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবো। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।’

আলহাজ্ব মোঃ জাবেদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোন পদপদবীর তোয়াক্কা না করে আজ অবধি মাঠে ময়দানে থেকে দলের স্বার্থে নিরলস কাজ করে চলেছি। ১৯৭৪ সালে আমি ২৭ নম্বর ওয়ার্ড (বর্তমানে ২৪ নং ওয়ার্ড) ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করি।

সেই থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। আজো কাজ করে যাচ্ছি। রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে ৯৬ সালের অসহযোগ আন্দোলন এবং ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকারের পতন আন্দোলনেও দলের পাশে ছিলাম। ২০০৫ সালে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমি সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম।

সেই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা প্রর্দশন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। তাই এবার নির্বাচনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনোনয়ন চাইবো। দলের সভাপতি যদি মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচন করবো। নিজস্ব তহবিল থেকে এলাকায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় মসজিদ মাদ্রাসায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। মানুষের সেবার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি জাবেদ-নুরুল ইসলাম- মমতাজ বেগম ফাউন্ডেশন নামে একটি সেবামূলক সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্যোগে এলাকায় সেবামূলক কাজ করছি।’

অপরদিকে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও এবারও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের বিভিন্ন এলাকায় আমি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আসছি। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে আমি সম্পৃক্ত। যুবলীগের কর্মকাণ্ড নিয়েও মানুষের কাছে যাচ্ছি। দলের সভানেত্রী যদি মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচন করবো। রাজনীতি যখন করি নির্বাচনের আশাতো আছেই। সেই আশা থেকেই প্রার্থী হওয়া।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মঈনুদ্দিন আহমদ মিন্টু বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ী হলেও আমার আসল পরিচয় আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। এই আসনটি যখন ইউনিয়ন পরিষদ ছিল তখন আমার পিতা মরহুম মনির আহমদ এই এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সেবায় কাজ করছি। এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম, এখনও আছি। এলাকার প্রতিটি নেতাকর্মীর সাথে যোগাযোগ রয়েছে। এলাকার মানুষের আগ্রহও রয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। এলাকার নেতাকর্মী ও নানান শ্রেনী পেশার মানুষ চায় আমি নির্বাচন করি। মনোনয়ন দিবেন প্রধানমন্ত্রী; তিনি যদি মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচন করবো।’

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এ পর্যন্ত ছয়টি নির্বাচনের মধ্যে উল্লিখিত আসনে চারবার জিতেছে বিএনপি এবং দুইবার জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ আফছারুল আমীন। নির্বাচনী পরিক্রমায় জানা যায়, ১৯৯১ সালে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ইসহাক মিয়াকে পরাজিত করে জয়ী হন।

পরে উপ-নির্বাচনে বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জয়ী হন। এরপর ৯৬ সালের দু’টি এবং ২০০১এর নির্বাচনেও এই আসন থেকে জয়ী হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আসনটির সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশন।

পতেঙ্গা ও হালিশহরের বড় একটি অংশ নিয়ে আলাদা আসন (চট্টগ্রাম-১১) করা হয়। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. আফছারুল আমীন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানকে ৯ হাজার ২৯১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.