চন্দনাইশে ৪ ফার্মেসী ও ১ চিকিৎসককে জরিমানা
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : চন্দনাইশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে চন্দনাইশ সদর ও বরকল মৌলভী বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪ ফার্মেসী ও ১ চিকিৎসক থেকে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজ সোমবার ১ অক্টোবর বিকালে চন্দনাইশ উপজেলা সদরস্থ ঔষুধের দোকান যথাক্রমে মেসার্স চৌধুরী ফার্মেসী, সৌদিয়া ফার্মেসী ও বরকলস্থ শাহ্ মজিদিয়া ফার্মেসীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ পাওয়ায় এবং লাইসেন্স নবায়ন না করায় চন্দনাইশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন মেসার্স চৌধুরী ফার্মেসীর মালিক মো. আক্কাছ উদ্দিন চৌধুরী মুন্নাকে ৩০ হাজার টাকা, সৌদিয়া ফার্মেসীর মালিক দীপক দে কে ১০ হাজার টাকা এবং কে. মাহমুদ মেডিকেল হল’র মালিক মো. জামিল উদ্দিন (বিটু)’কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে চন্দনাইশ সদরস্থ মায়ের দোয়া ফার্মেসীতে অনুমোদন ছাড়া শিশু খাদ্য রাখার কারণে ফার্মেসীর স্বত্তাধিকারী মো. আবু বক্কর চৌধুরীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পাশাপাশি জব্দ করা মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধগুলোকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবহৃত গাড়ির চাকায় পিষ্ঠ করে ধ্বংস করা হয়। অপরদিকে উপজেলা বরকল ইউনিয়নের মৌলভী বাজারস্থ শাহ্ মজিদিয়া মেডিসিন এন্ড চেম্বারের ডাক্তার গোলাম মোস্তাফা (সবুজ)কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার কোন সনদপত্র উপস্থাপন করতে পারেন নাই।
মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আদেশ উপস্থাপন করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, গোলাম মোস্তাফা সবুজের সাইন বোর্ডে এমবিবিএস (এএম) এবং শিশু ও মা বিশেষজ্ঞ উল্লেখ থাকলেও এব্যাপারে তিনি কোন রকম কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেন নাই।
ফলে তাকে চন্দনাইশ উপজেলায় তার নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার গোলাম মোস্তাফা (সবুজ) পরবর্তীতে কাগজপত্র উপস্থাপনের অঙ্গীকার দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন।