সিটিনিউজবিডি : ‘আমাদের দেশে প্রতিটি নির্মাণ কাজে মূল বেস বা ফাউন্ডেশন করার আগে সিমেন্ট কনক্রিট দিয়ে দুই থেকে তিন ইঞ্চি পুরুত্বের লেয়ার দেয়া হয়। এ লেয়ারটি ভবন ভাঙ্গার বর্জ্য দিয়ে নির্মাণ করা যায়। এতে খরচ কমে আর্থিক সাশ্রয় হবে । ’বৃহস্পতিবার চট্রগ্রামের সার্দান ইউনির্ভাসিটিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক (ইঞ্জিনিয়ার) এম আলী আশরাফ।
অধ্যাপক এম আলী আশরাফের সভাপতিত্বে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে ‘বিল্ডিং ভাঙ্গার বর্জ্য দিয়ে তৈরি কনক্রিটের কম্প্রোসিভ শক্তির ওপর লোনাজলের প্রভাব’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার মো. রাশেদুল হক। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরা।
সভাপতির বক্তব্যে এম আলী আশরাফ বলেন, যদি ভবন ভাঙ্গার বর্জ্য ব্যবহার করা যায় তাহলে নির্মাণ খরচ অনেক কমে আসবে। তাছাড়া এসকল বর্জ্যগুলো লোকজন নালা নর্দমায় ফেলে নালা নর্দমা ভরাট করে এবং পরিবেশ দূষণের কারণ হয়।
ভবন ভাঙ্গার এ বর্জ্যগুলোকে যদি লাভজনকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে আমাদের নগর সমূহের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে এবং আর্থিক সাশ্রয় হবে।