গুলশান কার্যালয়ের ইন্টারনেট সংযোগ ‘বিচ্ছিন্ন’- রিজভী

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইন্টারনেট ভিত্তিক সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্কাইপি বন্ধ করে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিআরসি ইন্টারভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কাইপির সেবা বন্ধ করে দিয়ে এক ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানস্থ কার্যালয়ে ইন্টারনেট ভিত্তিক সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন সাহেব বলেছেন-বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তার এই বক্তব্যের পরপরই সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিআরসি কর্তৃক স্কাইপি বন্ধ করে দেয়াতে আবারো প্রমাণিত হলো-নির্বাচনী মাঠ আওয়ামী জোটের একচেটিয়া দখলে থাকবে।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নমিনেশন প্রত্যাশীদের সাথে স্কাইপিতে কথা বলা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। কমিশন সচিব এ বিষয়টি নিশ্চিত করার পরও তড়িঘড়ি করে বিটিআরসি-কে দিয়ে স্কাইপি বন্ধ করে দেয়া সরকারের নিন্ম রুচির পরিচায়ক। সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিজেদের অনুকূলে নেয়ার জন্য ক্লান্তিহীনভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার তৎপরতাকে বাধা প্রদান করার জন্য সরকার সবধরনের শক্তি প্রয়োগ করছে।

রিজভী বলেন, গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ইন্টার ভিত্তিক সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করতেই স্কাইপি বন্ধ করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আওয়াজ ভেসে উঠলেই সরকার মূর্ছা যায়। আর সেজন্যই দুর থেকে ভেসে আসা শব্দকেও আটকানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী সংকীর্ণ রাজনীতির বলয় থেকে কোনদিন বেরিয়ে আসতে পারবে না। সরকার ও সরকার প্রধান ভিন্ন মত, বিরোধী দল, বিরোধী কণ্ঠস্বর নীরব করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, জনগণের নিরভিমান আনুগত্যই শেখ হাসিনার কাম্য। যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে ততদিন গণতন্ত্রের ফাঁড়া কাটবে না এবং দেশ থেকে বিপদ দুর হবে না। সরকার কর্তৃক তারেক রহমানের কণ্ঠের আওয়াজকে বাধা দেয়ার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা। আর এজন্য স্কাইপি বন্ধ করা হয়েছে। আসলে সরকার বলপ্রয়োগ করেই ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে, জনগণের সমর্থন নিয়ে নয়। আমি সরকারের এই ন্যক্কারজনক সংকীর্ণ মানসিকতার ধিক্কার জানাই এবং অবিলম্বে ইন্টারভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপি খুলে দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.