গোলাম সরওয়ার ,চট্টগ্রাম অফিস : রাজনীতিকদের প্রথমে মানবিক ও দায়িত্ববোধ হতে হবে। বখতেয়ার একাধারে দায়িত্বশীল একজন মানবিক রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন নাগরিক শোকসভায় বলেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ।
মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক গণআন্দোলনের অগ্রসৈনিক ও আওয়ামী লীগ নেতা বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী ২ আগস্ট মারা গেছেন।বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক তুখোড় নেতা ছিলেন । ছাত্র রাজনীতিতে এবং পরবর্তীতে বামপন্থী ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী ছিলেন মতিয়া চৌধুরী ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে বখতেয়ার নূর সিদ্দিকীর স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শোকসভায় দেয়া বক্তব্যে বখতেয়ার নূর সিদ্দিকীকে অনুজ, সহকর্মী, সহযাত্রী, আত্মার আত্মীয় বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নিজের তাগিদেই বখতেয়ার আমি আর পূর্ণেন্দু দস্তিদারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তিনিও একজন বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। মার্শাল ল জারির পর তার সামনেও বিপদ। কিন্তু সেই বিপদ তুচ্ছ করে বখতেয়ার রাজনীতিতে যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন সেটা আজ বিরল। ’
বখতেয়ারের সঙ্গে রাজনৈতিক অতীতের স্মৃতিচারণ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ৬৯ সালে আমি এবং কমিউনিস্ট নেতা পূর্ণেন্দু দস্তিদার চট্টগ্রামে আসছিলাম। ট্রেন যখন ক্যান্টনমেন্টের কাছে আসে শুনলাম মার্শাল ল জারি হয়েছে। আমি আর পূর্ণেন্দু দা ট্রেন থেকে নেমে গেলাম। বখতেয়ার কালবিলম্ব না করে আমাকে তার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে রেখে যায়। পূর্ণেন্দু দাকে নিয়ে বখতেয়ারও আত্মগোপনে চলে যান।
নাগরিক শোকসভা পরিষদের আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞানী ড.অনুপম সেনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবির, সাংসদ সাবিহা মুসা ও ওয়াশিকা আয়শা খান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।