কোরবানি পশুর দাম লাগামহীন হওয়ার সুযোগ নেই

0

সিটিনিউজবিডি :  ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার ক্রেতা সমাগম যেমন বেশি, বিক্রেতাও তেমন। টেকনাফ, কক্সবাজার জেলার সব হাটই এখন মায়ানমারের গরুতে সয়লাব। দাম কম ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় মায়ানমারের গরুর চাহিদার বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আমদানিও।

বাজারে গরুর দাম নিয়ন্ত্রণে মায়ানমারের গবাদি পশু ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মায়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি বেড়েছে। এরই মধ্যে মায়ানমার থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন বাজারে এসেছে অন্তত সাত হাজার গরু, মহিষ ও ছাগল। ঈদের আগে আসবে আরো ১৫ হাজার।  এসব পশুর দামও তুলানামূলকভাবে কম।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ করিডোর হয়ে আনা এসব গরু, মহিষ ও ছাগল থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে।

শাহপরীর দ্বীপ করিডোর ব্যবসায়ী জানান, মায়ানমার থেকে আনা পশুর মাংস গড়ে প্রতি মণ ১৫ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় গরু হলে দাম অনেক কম হয়।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, ভারত থেকে আমদানি করা কিংবা দেশি গরুর চেয়ে মায়ানমারের গরুর দাম অনেক কম।

টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করিডোর হয়ে চার হাজার ১৯৪টি গরু, মহিষ ও ছাগল আনা হয়েছে। এসব পশু থেকে রাজস্ব পাওয়া গেছে ২০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

মায়ানমার থেকে চলতি মাসে (সেপ্টেম্বর) প্রায় আড়াই হাজার পশু আমদানি করা হয়েছে। গত বছর মায়ানমার থেকে পশু আনা হয় ২৫ হাজারের মতো। শাহপরীর দ্বীপের গরু ব্যবসায়ী আব্দুর শুক্কুর জানান, বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) মায়ানমার থেকে সাত শতাধিক গবাদি পশু এসেছে।  প্রতিদিন গড়ে পাঁচশ’ গরু-মহিষ আসছে।

সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার পশু আমদানি করা হয়েছে। ঈদের আগে আরো ১৫ হাজার পশু আমদানির টার্গেট রয়েছে বলে জানান করিডোর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। মায়ানমার থেকে আমদানি করা পশু শুধু কক্সবাজার নয় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।

বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখছে মায়ানমারের গরু-মহিষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের কোরবানিতে পশুর দাম লাগামহীন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে ধারণা করছেন তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.