সিটি নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটি মন্ত্রিসভা থেকে বাদপড়া নয়, দায়িত্বের পরিবর্তন। তিনি বলেন, সিনিয়র লিডাররা দল গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
আজ সোমবার (৭ জানুয়ারী) সচিবালয়ে সড়ক, পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার ও দলের আলাদা আলাদা সত্ত্বা রয়েছে। একটা সুগঠিত সরকারের পাশাপাশি একটি সুসংগঠিত দল গঠনে সিনিয়র লিডাররা ভূমিকা রাখবেন। সিনিয়ররা কোনো দিক থেকে অযোগ্য তা নয়। এটি মন্ত্রিসভা থেকে বাদপড়া নয় দায়িত্বের পরিবর্তন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন পুরাতনদের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা আরও গতিশীল হবে। আগে যেসব এলাকায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন না সেসব এলাকাকে প্রাধান্য দিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। নতুন সরকারের মন্ত্রীসভা জনগণ ইতিবাচক হিসাবেই নিচ্ছে। দেশের মানুষ এটাকে কিভাবে নিয়েছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ ও দেখার বিষয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেকোনো সময়ের চাইতে অর্থাৎ পঁচাত্তর পরবর্তী যেকোনো সময়ের চেয়ে আমাদের দলের ঐক্য অনেক বেশি দৃঢ় ও অনেক স্মার্ট। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দল সলিডলি ইউনাইটেড। কাজেই এটা নিয়ে দলে কোনো অসন্তোষ নেই। কারণ দলে যারা আছেন তারা দলের দায়িত্ব পালন করছেন। সময়ে সময়ে দলের মধ্যেও পরিবর্তন আসে। নতুন মুখ আসে, তাদেরও দায়িত্বের পরিবর্তন হয়। এভাবেই আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা করা হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সময়ের চাহিদা অনুযায়ী এ ধরনের মন্ত্রিসভা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে যেসব জেলাগুলো থেকে মন্ত্রী করা হয়নি সেসব জেলাগুলোরকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দুর্নীতি দমন করা।
ছোট আকারের মন্ত্রিসভা কেনো হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোট হলেও যেকোনো সময়ে সম্প্রসারণ হতে পারে। যারা মন্ত্রণালয় চালানোর ব্যাপারে দক্ষতা দেখাতে পারবেন না তারাও যেকোনো মুহূর্তে বাদ পড়তে পারেন।
এবারই প্রথম শপথ গ্রহণের আগেই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হিসেবে যারা শপথ নেবেন তাদের নাম ঘোষণা করেছে সরকার।