উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ মার্চে ভোট
সিটি নিউজ ডেস্কঃ আগামী মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে পাঁচ ধাপে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিভাগওয়ারি ধাপে ধাপে নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা এবং জেলা সদরে অবস্থিত উপজেলাগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি।
আজ সোমবার (১৪ জানুয়ারী) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ কমিশনের সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসি সচিবালয়ের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ইসি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভাগওয়ারি ৪টি ধাপে এবং যেসব উপজেলার মেয়াদ পরে পূর্ণ হবে সেগুলো নিয়ে আরেকটি ধাপ, মোট পাঁচটি ধাপে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করা হবে।
হেলালুদ্দীন বলেন, একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। দলগুলো এককভাবে নাকি জোটতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে তা জানতে চেয়ে ইসি দলগুলোকে চিঠি দেবে। স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদেরও চিঠি দেওয়া হবে। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে দলগুলোকে ইসিকে জানাতে হবে। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইসি ভোটার তালিকা করবে।
হেলালুদ্দীন বলেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে আসনটি শুণ্য হয়েছে। সৈয়দ আশরাফ নির্বাচিত হয়েছেন, গেজেটও প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু তিনি শপথ নিতে পারেননি। তাই এ ক্ষেত্রে কিছু আইনগত জটিলতা আছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের কাছ থেকে অবহিত হতে হবে। এরপর ওই আসনে নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সচিব বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের পর ইসিতে স্মারকলিপি দিয়েছিল, আওয়ামী লীগও একটি স্মারকলিপি দিয়েছিল। কমিশন এগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে। কমিশন মনে করে ঐক্যফ্রন্ট যেসব অভিযোগ করেছে, ভোট বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে, এসব বিষয়ে এখন ইসির কিছু করার সুযোগ নেই। কেউ সংক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন। আর কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের ফলাফল সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিতে পারবেন।