সিটিনিউজবিডি : বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া দলের চেহারাটা কেমন হবে, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল যথেষ্টই। সোমবার বাংলাদেশ সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার যে টেস্ট দলটি ঘোষণা করা হলো, তাতে অবাক হওয়ার অনুষঙ্গ বেশ কয়েকটি।
মাইকেল ক্লার্ক, ব্র্যাড হাডিন, রায়ান হ্যারিস, ক্রিস রজার্স দলে নেই অবসর ঘোষণা করে। বিশ্রাম জন্য মিচেল জনসন আর জশ হ্যাজেলউডও বাংলাদেশে পা রাখছেন না। চোটের কারণে নেই ডেভিড ওয়ার্নার।
নতুন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে থাকছেন এমন কয়েকজন ক্রিকেটার, যাদের পরিচিতি খুব একটা নেই বিশ ক্রিকেট পরিমণ্ডলে।
সবাইকে একটু অবাক করেই বাংলাদেশ সফরের দলে সুযোগ হয়েছে ৩০ বছর বয়সী পেসার অ্যান্ড্রু ফেকেতের। ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ক্যামেরন ব্যানক্রফটের অন্তর্ভুক্তিও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের নতুন দিনের কথা চিন্তা করেই। বাংলাদেশ সফর দিয়েই আবারও টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাক্সওয়েল ছাড়াও অস্ট্রেলীয় টেস্ট দলে নতুন করে ডাক পাওয়া ক্রিকেটাররা হলেন জো বার্নস, প্যাটট্রিক কামিন্স, উসমান খাজা, স্টিফেন ও’কিফে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক রডনি মার্শ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফরের দলটি তাঁরা গড়েছেন বাংলাদেশে কন্ডিশন মাথায় রেখেই। এ ছাড়া অ্যাশেজ সিরিজে খেলোয়াড়দের ফর্ম, চোট-সমস্যাও এই দল গঠনে বিচার্য বিষয় হয়েছে, ‘খেলোয়াড়দের ফর্ম, চোট-সমস্যার কথা আমরা মাথায় রেখেছি। তবে বাংলাদেশের কন্ডিশনের ব্যাপারটি এই দল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’ মার্শ অবশ্য নির্বাচিত দলটির খেলোয়াড়দের জন্য বাংলাদেশ সফর নিজেদের প্রমাণের দারুণ এক সুযোগ হিসেবেই মনে করেন।
বাংলাদেশ সফরের এই অস্ট্রেলিয়া দলের মোট সাতজন খেলোয়াড়ের বয়স ২৬ বছরের নিচে। সুতরাং এই দলকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ‘নতুন যুগের দল’ হিসেবে অভিহিত করাই যায়। বাংলাদেশ সফরে কেবল দুটো টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ১৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টেস্ট।