কর্ণফুলী টানেল হবে বঙ্গবন্ধুর নামে উন্মুক্ত হবে ২০২২ সালে
সিটি নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এছাড়া টানেলটি ২০২২ সালে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আজ সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর সেতু ভবনে কর্ণফুলী টানেলের নিরাপত্তা বিষয়ে নৌবাহিনীর সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি টিবিএম মেশিন দিয়ে খনন কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ও চীন সরকারের অর্থ সহায়তা ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
সড়ক মন্ত্রী আরো বলেন, এ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৩২ ভাগ হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ করতে পারবো।
মন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে সরাসরি কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে চট্টগ্রাম শহরের যানজটসহ ভ্রমণ সময় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।
অনুষ্ঠানে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদৌস ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষে নেভাল অপারেশনের পরিচালক এবং সেফটি এন্ড সিকিউরিটি সুপারভিশন কনসালটেন্টের প্রধান সমন্বয়ক কমোডর মাহমুদুল মালেক স্বাক্ষর করেন।
প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে চট্টগ্রামের চিত্র। গড়ে উঠবে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের নিরবিচ্ছিন্ন ও যুগোপযোগী সড়ক যোগাযোগ। সংযোগ স্থাপন হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে। যুক্ত করা হবে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা শহরের সঙ্গে ডাউন টাউনকে।
দুই টিউব সম্বলিত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল টানেল, পতেঙ্গা ও কর্ণফুলী প্রান্তের ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এপ্রোচ রোড এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজসহ মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ২৭ কিলোমিটার বিশিষ্ট কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রামের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।