অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবারের ব্যবস্থা করলো চসিক

0

কারেন্ট টাইমসঃ নুতন চাক্তাই ভেড়া মার্কেটের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দেড় হাজার পরিবারকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি দুই দিনে চার বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

আজ সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে  সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন কর্পোরেশনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে দুর্যোগকালীন সময়ে করণীয় ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে দায়িত্ব ও কার্যক্রমের ওপর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল এন্ড ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশান (ইপসা)’র মধ্যে একটি ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল এর পক্ষে সংস্থার উপ পরিচালক মো. মোস্তাক হোসাইন ও ইপসার পক্ষে এর প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এতে কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর উপ পরিচালক মো. মোস্তাক হোসাইন, ইপসার পক্ষে এর প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান,সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের উপ পরিচালক নাসিম বানু, উপ পরিচালক মনজুরুল হাসান।

সভায় চসিকের সাথে সেভ দ্যা চিলড্রেন ও ইপসা এর মধ্যে সাইক্লোন, জলাবদ্ধতা, পাহাড় ধস, ভূমিকম্প, অগ্নিকা-ের মতো দুর্ঘটনা এবং দুর্যোগ থেকে কিভাবে নিরাপদে জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করা যায় এ ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে সংস্থাগুলো ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ২ হাজার বস্তিতে দুর্যোগকালীন সময়ের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে মেয়রকে অবহিত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আরো বলেন, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে চট্টগ্রাম দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি আবার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাও। পাহাড়, নদী, সাগরের কারণে অতি বৃষ্টি ও বন্যা হলে আমাদেরকে শঙ্কায় থাকতে হয়। এক সময়ে গ্রামকে ঝুঁকিপ্রবণ মনে করা হলেও অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে নগর এখন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই যে কোন ধরণের দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি থাকা লাগবে।

কর্পোরেশন দীর্ঘদিন ধরে দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন আমি দায়িত্ব নেয়ার পূর্বে যে কোন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কর্পোরেশনের তহবিল থেকে পরিবার প্রতি ৫শ টাকা করে দেয়া হলেও মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার পর আমি তা ২ হাজার টাকায় উন্নীত করেছি। অনেক ক্ষেত্রে ৪/৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৪১টি ওয়ার্ডে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কর্পোরেশনের কর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০ জন করে দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটি বিদ্যামান আছে। এই কমিটিকে হালনাগাদ করার জন্য সংশ্লিষ্ঠদের পরামর্শ দেন সিটি মেয়র। মেয়র সমঝোতা স্মারক চুক্তির আলোকে নগরীর ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ও ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহন করে দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্পোরেশনের কর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন। সভায় বক্তারা ক্লীন, গ্রীণ ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.