চট্টগ্রামই মুক্তিযুদ্ধের উত্তাপকে বেশি ধারন করেছেঃ মামুনুর রশিদ
কারেন্ট টাইমসঃ বিশিষ্ঠ নাট্যকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মামুনুর রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্তোর শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা যাবে না।
আজ সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নগরীর স্টেডিয়ামস্থ জিমনেশিয়াম প্রঙ্গনে অমর একুশে বই মেলা মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ঠ অভিনেতা আহমেদ ইকবাল হায়দার। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকার রবিউল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাট্যজন মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, স্বাধীনতাত্তোর এ চট্টগ্রামই মুক্তিযুদ্ধের উত্তাপকে সবচেয়ে বেশি ধারন করেছে । বাংলাদেশের মঞ্চ নাটক মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ শিল্প শস্য। গত চার দশক ধরে বাংলাদেশের নাট্যকর্মীরা এ শিল্পধারাকে পরিচর্যা করেছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের নাট্যঅঙ্গণ ছিল অদ্বিতীয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন,ভাষা আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি পর্বেই রয়েছে চট্টগ্রামের বিদ্রোহী ভুমিকা। প্রতিবাদ প্রতিরোধ চেতনাই তার প্রধান বৈশিষ্ঠ। ৭১ এর অগ্নিঝড়া দিনগুলোতে চট্টগ্রামের ভূমিকা ছিল প্রতিবাদী। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল কালখন্ডে বসে চট্টগ্রামের নাট্যকর্মীরা প্রতিবাদী নাটক প্রদর্শন করেছে। যা বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ভাষার মাসে দেশব্যাপী বইমেলার উদযোগ শুভ লক্ষন। চট্টগ্রামের একুশের বই মেলায়ও প্রানের সঞ্চার হয়েছে দেখে আমি আনন্দিত। সংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্বের এই দু:সময়ে বই মেলার আয়োজন নতুন প্রজন্মকে ভার্চুয়াল জগতের অশুভ মোহ থেকে রক্ষা করবে।
তিনি বলেন আমরা চাই নাটক চলিচিত্র ও সংস্কৃতিক চর্চায় নতুন প্রজন্ম আবহমান বাঙালির চিরায়ত রূপটাকে উপলব্ধি করুক। কারন এর মাধ্যমেই জীবনের দু:খ-কষ্ট ব্যাথা বেদনাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়।
তিনি এই শুভ উদ্যোগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনার এই ধরনের উদ্যোগ আগামীতেও যাতে অব্যাহত থাকে। তাহলে নতুন প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি ও মাদক-জঙ্গীবাদের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট এর আধুনিকায়নের কথা উল্লেখ করে বলেন এখান থেকেই নাট্যকার সৃষ্ঠিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তজ্জন্য তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধুবাদ জানান। শুরুতে মেলা মঞ্চে মাইজভান্ডারী গান পরিবেমন করেন শিল্পীরা।