কাপাসগোলা কলেজে নান্দনিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছেঃ মেয়র

0

কারেন্ট টাইমসঃ  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন, কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজ ও ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন, মনোমুগ্ধকর, আধুনিক ও বিশ্বমানের ক্যাম্পাসে রূপান্তরের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

এ পরিকল্পনা আগামী দু”বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এখানে বহুতল বিশিষ্ট দু’টি ভবণ নির্মিত হবে। তখন আর স্কুল ও কলেজের শ্রেনীকক্ষ সংকট থাকবে না। শুধু তাই নয়, জনগুরুত্ব বিবেচনা করে এ কলেজে ছাত্রীদের জন্য আবাসনেরও ব্যবস্থা করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় এ কলেজে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সমন্বিত একটি ভবণ নিমার্নের কাজ শুরু হয়েছে।

আজ রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ,নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু ,পরিচালনা পর্যদের সদস্য মনজুর হোসেন ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। সভায় কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ার জাহান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নাসরীন আকতার,এস.এম.শহীদুল ইসলাম,মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবুল কালাম এবং কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল ও প্রাইমারী পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এই সময় উপস্থিত ছিলেন।

সিটি মেয়র বলেন শিক্ষা-গবেষণার জন্য প্রয়োজন মনোরম ও নান্দনিক পরিবেশ। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপন ও মনোরম পরিবেশ মানুষের মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং শরীরকেও রাখে রোগমুক্ত। তিনি বলেন, এ বাস্তবতাকে ধারণ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্টান ও ক্যাম্পাসকে নান্দনিক পরিবেশে রূপ দেয়ার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে । এই প্রসংগে সিটি মেয়র বলেন শিক্ষার মান্নোয়নের মাধ্যমে দেশকে আরো অনেক দুর পাড়ি দিতে হবে।

সত্যিকার জ্ঞান অর্জন করে ভালো মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদেরকে তৈরী করতে হবে। সততা,দেশপ্রেম ও নৈতিকতা এই বোধগুলো তাদের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। মেয়র আরো বলেন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পড়াশুনার অংশ । প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পড়ালেখার সাথে খেলাধুলা ও সাংস্কৃুতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে হবে।

শারীরিক,মানসিক ও আত্মিক সুস্থতার জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ । শরীরচ্চা -ক্রীড়া জ্ঞানর্চ্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের মনের দরজা ও জানালা খুলে দেয়। এই প্রসংগে মেয়র প্রাতিষ্টানিক শিক্ষার পাশাপাশি সাস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাঝে সামাজিক দায়িত্ববোধ ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে একটি শক্ত ভিত গড়ে উঠে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিপথগামী হওয়া থেকে বিরত রাখে এবং তাদের মননশীলতার বিকাশ ঘটবে বলে তিনি মনে করেন। পরে মেয়র ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.